কলেজ রিভিউ-Dhaka College Review Admission, ঢাকা কলেজ, নিউমার্কেট, ঢাকা।
ঢাকা কলেজে উচ্চ-মাধ্যমিক বা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সকল তথ্য সহ কলেজের যাবতীয় সকল তথ্য এই লিখায় আলোচনা করা হলো।
![]() |
ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির যোগ্যতা |
স্কুলের গন্ডি পার হতে না হতেই সবার মনে একটি স্বপ্ন জেগে উঠে এখন আমি কি করবো? কোন কাজটি করলে জীবনে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে? তারপর অনেকের মাথায় অনেক কিছু আসলেও অধিকাংশরাই ইন্টারমিডিয়েট বা উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু ভর্তি কোথায় হবে সেটা নিয়ে চলে কয়েকদফা চিন্তাভাবনা। ঢাকায় হলে কিভাবে থাকবো,কোথায় থাকবো নানান প্রশ্ন। যদি মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত হয়ে থাকি তখন এসব প্রশ্ন আর বেশি ঝেকে ধরে।
পছন্দের
কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে কিছু
কথাঃ
অনেকে দেশের সুখ্যাত বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে চায়, তার মধ্যে যারা ঢাকা কলেজে ভর্তি হতে যাচ্ছ পোস্টটি তাদের জন্য। কলেজ সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে অনেকে ভর্তি হয় সেই পরিবেশের সাথে অনেকে মানিয়ে নিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। পরে দেখা যায় পড়াশুনা ত হয়না বরং জীবনের গোল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। এই জন্য নামের বা বিখ্যাত কলেজের নামের পিছনে না দৌড়ে আগে জেনে যদি মনে করো মানিয়ে নিতে পারবে তাহলে ভর্তি হতে হবে। আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে পরবর্তী জেনারেশনের উদ্দেশ্যে লিখছি যারা ভর্তি হতে ইচ্ছুক ঢাকা কলেজে।
ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাকালঃ
1841 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা কলেজ। এটি বাংলাদেশের প্রাচীন কলেজের মধ্যে অন্যতম এবং ঢাকার প্রথম কলেজ ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সেকটরে ঢাকা কলেজের অবস্থাঃ
বর্তমানে দেশের শীর্ষস্থানীয় জায়গা দখল করে থাকা নেতা ,মন্ত্রী , পুলিশ,ডাক্তা্ অভিনয়শিল্পী সহ নানা পদের নানান মানুষ এই কলেজে অধ্যায়নরত ছিল। বাংলাদেশে এমন খুব কম সেক্টর পাওয়া যাবে যেখানে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা রাজ করেনি এবং করছেনা। সরকারি বেসরকারি সেক্টরে অসংখ্য শিক্ষার্থী কর্মরত আছেন এবং লিড দিচ্ছেন। এই কলেজের ইতিহাস মূলত এর জন্য শ্রেষ্ঠ।
ঢাকা কলেজের পড়ার জন্য আর্থিক?খরচ অবস্থাঃ
ঢাকা কলেজ একটি সরকারি কলেজ। তাই এখানে পড়াশোনা করতে তেমন আর্থিক খরচ না লাগলেও কিছুটা প্রয়োজন পরে। কলেজে ভর্তি হবার সময়ে প্রায় 3500 টাকা অনলাইনে পে করতে হয় এক বছর। তারপর বড় আর কোন চার্জ নেই। তাই যদি কেউ আর্থিক সমস্যায় থাকো তবে তার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। যাদের আর্থিক সমস্যা আছে তারা চাইলে এই প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করতে পারেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি তথ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি জানুন এখানে
অন্যান্য সুবিধা:
যেহেতু এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,
নিউমার্কেট, নীলক্ষেত এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গার
মাঝখানে তাই এখানে পড়াশোনা
করতে গিয়ে আর্থিক সমস্যার কারণ থাকলেও কেউ
চাইলে আর্থিক সমস্যা সমাধান করতে পারবে। কেননা
কেউ যদি আর্থিক সমস্যায়
থাকে এবং অতিরিক্ত টাকা-পয়সা উপার্জন করতে চায় তাহলে
তার জন্য এখানে কোনো না উপায় থাকবে। যেমন টিউশন, পার্ট টাইম জব, অনলাইন ভিত্তিক কাজ,
ডেলিভারি
ঢাকা কলেজে
ভর্তির
জন্য
যোগ্যতা ২০২৩ঃ
- সাইন্স মোট নাম্বার বারোশো জিপিএ 5
- কমার্স মোট নাম্বার 1140 প্লাস জিপিএ 4.75
- মানবিক নাম্বার 1130 প্লাস জিপিএ 4.50
মূলত উপরে পরিসংখ্যানটি অনুমান নির্ভর, কারণ বোর্ডে ছাত্রদের এভারেজ নাম্বারের উপর ভিত্তি করে কলেজগুলো মাইগ্রেশনে নাম্বার টানে। কোন বছরে ১২০০ নাম্বার বেশি হয়। আবার কোন বছর কম হয়। তবে ঢাকা কলেজে সবসময় মোট নাম্বারের 90% প্রাপ্ত ছাত্ররাই চান্স পেয়ে থাকে।
আরবী বা ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে পড়ে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ সুবিধাসমূহ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধা;
ঢাকা কলেজের ছাত্রদের জন্য কলেজ বাস রয়েছে বিভিন্ন রুটের ছাত্রদের আনা-নেওয়া করা হয়. কলেজ বাসা কোন আলাদা চার্জ ফ্রি নেই। তাদের জন্য দুঃসংবাদ যারা ভেবে রেখেছো কলেজে উঠলে প্রেম করবে। কারণ ঢাকা কলেজে কোন মেয়ে নাই ইহা বয়েজ কলেজ। এর আশেপাশে ও তেমন কোন মেয়েদের কলেজ নেই। সেই হেসেবে যারা ভেবে রেখেছে কলেজে উঠে প্রেম করবে সেতা সম্ভব না আর।
ঢাকা কলেজের নিয়মনীতিঃ
ছাত্রদের জন্য ঢাকা কলেজের পর্যবেক্ষন কমিটিঃ
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর গোয়েন্দা নজরদারি রাখার জন্য দুটি কমিটি রয়েছে। নিপক (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কমিটি) এবং তাপক (তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণ কমিটি)। এই দুই কমিটি তোমার কলেজ জীবন কে অস্বাভাবিক করে ফেলবে। কলেজে ঢোকার সময় তোমার চুল, পকেট চেক করবে। তাছাড়াও মাপক (মাসিক পর্যবেক্ষণ কমিটি ) আছে যারা 30 জনকে গ্রুপে বিভক্ত করে একজন গাইড টিচার এর আওতায় নেয় যিনি সার্বিক পরিস্থিতি ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে সকল সমস্যা সম্পর্কে অভিভাবককে অবগত করবেন।
চুল রাখা না রাখা সমস্যাঃ
যারা চুলের ব্যাপারে খুব সেনসিটিভ এবং হেয়ারস্টাইল রাখতে চাও তারা চুল কি জিনিস ভুলে যাও। ঢাকা কলেজের চুলের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। যদি তুমি ভেবে থাকো আরে কোন একটা ব্যবস্থা করে চুল বড় রাখবে তবে যেন ভেবে রেখো কলেজে সবাইকে লাইন ধরে প্রবেশ করানো হয় যদি চুলের সাইজ 1 সেন্টিমিটার থেকে বেশি হয় তবে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয় না এবং উক্ত দিন অনুপস্থিত তার ওপর তার আইডি কার্ড রেখে দেওয়া হয় পরের দিন চুল ছোট করে আইডি কার্ড দেইয়া হয়
সময় এবং শৃঙলাঃ
ঢাকা কলেজের টাইম এন্ড ডিসিপ্লিন ব্যাপারে অনেক সচেতন। তোমাকেও ড্রেসকোড পরে কলেজে আসতে হবে অন্যথায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। কলেজের ভিতরে প্রবেশ করেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে তোমার অ্যাটেনডেন্স দিতে হবে এবং সেটা 7:30 থেকে আটটার মধ্যে নিতে হবে। আট টার থেকে আট টা পনেরো মধ্যে দিলেও সেটা LATE প্রেসেন্ট গণনা করা হয়। উক্ত সময়ের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সেটা একশন গণনা হবে আর তিন দিন লেট প্রেজেন্ট থাকলেই সেটা অনুপস্থিত গণনা করা হয়। কলেজ ছুটি হয় 11 টায় এবং ছুটির সময় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। মোটকথা এক দিনে দুইবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যান করতে হবে যদি একবার মিস হয় কোন কারণে তবে সেটা এভসেন্ট ধরা হয়।
পরীক্ষার জন্য যেভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় ঢাকা কলেজেঃ
ঢাকা কলেজের একটি সিরিয়াস টপিক পরীক্ষায় 50 মার্ক না পাইলে পরবর্তী শ্রেণীতে পড়তে দেয়া হইয় না । এখন কথা হল তুমি ক্লাসে পড়ায় মনোযোগ দিতেছ নাকি না দিতে চাও সেটা বিষয় না. আসল বিষয় হলো তোমাকে অবশ্যই 50 পার্সেন্ট মার্ক পেতে হবে। তাছাড়া ক্লাসে কোন দুষ্টামির ছলে কোন শিক্ষক দেখলে তখন তার আইডি কার্ড নিয়ে যাওয়া হবে এবং অভিভাবককে ডাকা হবে। তারপর সিসি টিভি ফুটেজ তো আছেই।
এটেন্ডেন্সঃ
ঢাকা
কলেজের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্ট হচ্ছে
অ্যাটেনডেন্স। যদি তোমার মাসব্যাপী 80 পার্সেন্ট অ্যাটেনডেন্স না হয় তুমি
কোন পরীক্ষা দিতে পারবে না
। তারপর মা বাবা এনে কান্নাকাটি
করলেও কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
করতে দিবেনা।
ঢাকা কলেজের থাকা খাওয়া সুবিধাসমূহঃ
ঢাকা কলেজের মোট আটটি ক্যান্টিন রয়েছে। সাথে আছে কমনরুম পাশাপাশি খেলার মাঠ আর পুকুর । হলে উঠলে সিট কনফার্ম করার জন্য প্রায় 6 হাজার 500 টাকা দিতে হয় এরপর এক বছরে আর কোন চার্জ দিতে হয় না খাবার হল ডাইনিং হলে 35 টাকা রেইট
যদি তুমি ভেবে থাকো ক্লাসে ঘুমাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে করিডোরে হাঁটাহাঁটি করবে ক্লাস মিস দিবে। তোমার জন্য রইল দুঃস্বপ্ন। কলেযে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো যায তোমাকে পর্যবেক্ষণ করবে।
বুক/বই রিভিউ কি ? কিভাবে বই রিভিউ লিখতে হয়? জানুন এখানে
আরেকটি কথা শোনা যায় ঢাকা কলেজের পোলাপান গুন্ডা /এই কথাটির সত্যতা কলেজে না পড়লে বুঝবেন না। কলেজ থেকে কখনো এগুলো প্রমোট করা হইয় না। ইন্টার পূর্ব ছেলেগুলো কোন প্রকারের গ্যাঞ্জাম করলে কলেজের স্যাররা নিজেরা ধাওয়া করেন। তবে একটি কথা হচ্ছে সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে। কিন্তু ঢাকা কলেজে ভার্সিটি লাইফের রাজনীতি আছে। বিশেষ দ্রষ্টব্য সিটি কলেজ আইডিয়াল কলেজের সাথে গ্যাঞ্জাম লেগে থাকে। ঢাকা কলেজের পোলাপানদের ঢাকা কলেজে এত ঝামেলার মাঝেও একটি জিনিস পাবা সেটা হচ্ছে ঢাকা কলেজের ইউনিটি। যা অন্য কোন কলেজে সম্ভব নয়। যেকোনো সময়ে সিনিয়রদের কাছে পাবা।
ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে পড়ে পাবে ঢাকার বুকে গর্ব করে বুক ফুলিয়ে হাটার এক অনুভূতি। এই সবকিছু জেনেও যদি তুমি ঢাকা কলেজে এসে মানিয়ে নিতে পারো তবে তোমাকে ঢাকা কলেজে স্বাগতম.
এছাড়াও অন্যান্য আবডেট তথ্যের জন্য ঢাকা কলেজের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ওয়েবসাইট লিংক https://bit.ly/3PQbQeH
লিখাঃ
হৃদয় চন্দ্র সরকার
ঢাকা
কলেজ ব্যাচ 21
যন্ত্রকৌশল
বিভাগ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
- ঢাকা কলেজে পড়ার খরচ
- ঢাকা কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
- ঢাকা কলেজ কেমন?
- সেরা কলেজ 2023
- ঢাকা কলেজের মানবিক বিভাগ
- ঢাকা স্যাট কলেজ কোথায় অবস্থিত?
- ঢাকা কলেজ কোথায় অবস্থিত?
- ঢাকা কলেজ ইংরেজি বিভাগ
- ঢাকা কলেজে পড়ার খরচ
- ঢাকা কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
- ঢাকা কলেজ কেমন?
- সেরা কলেজ 2023
- ঢাকা কলেজের মানবিক বিভাগ
- ঢাকা স্যাট কলেজ কোথায় অবস্থিত?
- ঢাকা কলেজ কোথায় অবস্থিত?
- ঢাকা কলেজ ইংরেজি বিভাগ
- ঢাকা অল কলেজে ভর্তির পয়েন্ট 2023
- ঢাকা কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
- ঢাকা কলেজ অনার্স ভর্তি 2023
- ঢাকা কলেজ ভর্তি ফরম
- কলেজ ভর্তি ঢাকা
- ঢাকা কলেজে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা
- ঢাকা কলেজে ভর্তি ২০২3
- ঢাকা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি 2023
- ঢাকা অল কলেজে ভর্তির পয়েন্ট 2023
- ঢাকা কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
- ঢাকা কলেজ অনার্স ভর্তি 2023
- ঢাকা কলেজ ভর্তি ফরম
- কলেজ ভর্তি ঢাকা
- ঢাকা কলেজে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা
- ঢাকা কলেজে ভর্তি ২০২3
- ঢাকা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি 2023