বুক রিভিউ কি?বুক রিভিউ কিভাবে লিখলে পাঠক আগ্রহী হয়ে উঠবে ? বুক রিভিউ লিখার সঠিক নিয়ম

বুক রিভিউ কি?বুক রিভিউ কিভাবে লিখলে পাঠক আগ্রহী হয়ে উঠবে ? বুক রিভিউ লিখার সঠিক নিয়ম।

 চলুন জেনে আসি আগে বুক রিভিউ কাকে বলে। স্বাভাবিক ভাবে রিভিউ বলতে আমরা বুঝি কোনো বিষয়ের ভালো এবং খারাপ দিকের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ই রিভিউ।  আর যদি বলি বুক রিভিউ কাকে বলে তাহলে আমরা বলবো কোনো বই এর ২দিকের (ভালো-খারাপ) সংক্ষিপ্ত আলোচনা।

বুক রিভিউ লিখার নিয়ম:

বুক‌‌‌ রিভিউ লিখতে
জ্ঞানের একটা অদ্ভুত দিক হলো তা কখনো কোনো  স্হান,কাল,পাত্রে বন্ধি করে রাখা যায় না। মানুষ তার জানা জিনিসগুলোকে প্রকাশ করতে পছন্দ করে। আর পছন্দ করে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণতা করতে। সেক্ষেত্রে ভালো খারাপ ২ টি দিক ই বর্ণনা  করতে পারেন।
আপনি যখন কোন ভালো বই বা নিজের পছন্দের কোন বই পড়েন তখন তার সম্পর্কে বন্ধুদের জানাতে
 রিভিউ করতে হবে খুব সাবধানে,যাতে আপনার মনের কথাগুলো অনুর্ধ্ব ২৫০ শব্দের মধ্যে সহস্র শব্দের সমন্বয় ঘটিয়ে পাঠক মনকে অনন্ত মহানভে ছুটতে দ্বিধায় না ফেলে।  এতে করে আপনার যেম্ন বইটি পড়ে ভালো লেগেছে অন্যদের যেন তেমনি লাগে। যদি আপনি স্বাভাবিক ভাবে বইটির রিভিউ বর্ণনা করেন এতে করে এই বইটির প্রতি অন্যদের আগ্রহ কমে যাবে। মনে রাখতে হবে আপনার রিভিউ পড়তে গিয়ে যেন অন্যের আগ্রহ কিমে অনাগ্রহী হয়ে না যায়।

 যেভাবে লিখবো :

১. বুক রিভিউ লিখতে কোন ব্যাকরণের প্রয়োজন হয় না। মানে স্বাভাবিক এবং সাবলীল ভাষায় আপনি আপনার কথা গুলো প্রকাশ করুন যাতে কোনো দুরত্ব্যায়ন না হয় শব্দ বা বাক্যগত। তবে খেয়াল রাখতে হবে লেখাটা যেনো হয় গুছানো এবং স্মার্ট।

২.আমরা অনেকে বুক রিভিউ দেই বই এর সকল অংশ ভালো করে না পড়ে।  প্রথমে বইটা অবশ্যই ভালো করে পড়তে হবে, প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ টপিক নোট নিতে হবে। যাতে করে এই বিষয়গুলো আপনি বুক রিভিউতে ইনক্লুড করতে পারেন। বইয়ের মূলকথাগুলো নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন। এতে করে পাঠক সহজে অনুধাবন করতে পারবে আপনি কি বলতে চাইছেন।

৩.পুরোটা বই পড়ার পর যখন আপনি বুঝবেন লেখক কোন বিষয়টির সম্পর্কে বেশি বলেছেন বা ইংগিত করেছেন এই বিষয়টির ইংগিত করুন আপনিও।
বইটি কেন গুরুত্বপূর্ণ বা কেন পড়া দরকার তা আকর্ষণীয় ভাবে উপস্হাপনের চেষ্টা করুন সেই বিষয়গুলো। সাথে বইটির ইম্পেক্ট সম্পর্কে কিছু কথা লিখুন।


৪. কাদের জন্য রিভিউ লিখছেন তা মাথায় রেখে শব্দ চয়ন করুন।  সব ধরণের পাঠক সব বিষয়ে আগ্রহী না, তাই সাধারণ পাঠক আর সমালোচকদের জন্য একি শব্দ চয়ন করা হয় না যে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।


৫.লেখক সম্পর্কে : লেখক সম্পর্কে ধারণা দিন,লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করুন। লেখক কোন বিষয়টির গুরুত্ব দিয়েছেন লেখায়,কোন বিষয়টি পাঠকের কাছে প্রকাশ করতে চেয়েছেন সেই মেসেজটা বুঝার চেষ্টা করুন এবং তা সংক্ষেপে লিখুন।

৬. গঠনমূলক সমালোচনা করুন। নেগেটিভ শব্দ পরিহার করুন  যাতে অন্যদের অনীহা না বাড়ে বইটির জন্য।


৭. গঠনমূলক আলোচনা বা বইটি আপনার ভালো লাগাতে লেখক,প্রকাশনী বা অন্য কোন সংগঠনের মোহে বা ভালবাসায় অতিরিক্ত প্রশংসা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন এতে বইটির আগ্রহ আরো বাড়বে পাঠক মনে।


৮.ব্যক্তিগত আগ্রহ : অনেকে বুক রিভিউ লিখতে গিয়ে  বই সম্পর্কে ব্যক্তিগত আগ্রহ আকাশে পৌছে দেন, যা অনর্থক হয়ে উঠে পাঠক মনে। বইয়ের গুরুত্ব বর্ণনা করুন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত প্রশংসা আপনার লেখাকে বিজ্ঞাপনে পরিণত করতে পারে।

৯. সর্বশেষ বলবো আপনার বুক রিভিউটিকে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বই থেকে কোনো নির্দিষ্ট লাইন বা বই সম্পর্কে কোন বিখ্যাত বাণী দিয়ে রিভিউ লেখা শুরু করতে পারেন। এতে করে  পাঠকমনে অতিরিক্ত আগ্রহ যোগাবে রিভিউটি পড়তে।

এসব গুণাগুণ বজায় থাকলে লিখায় আশা করি আপনার বুক রিভিউ হবে স্ট্যান্ডার্ড,স্মার্ট এবং আকর্ষণীয়। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post