আল্লাহর ৯৯ নামের বাংলা অর্থ আরবি সহ।


[আল্লাহ  ৯৯ নাম বাংলায়।  আল্লাহর ৯৯ নাম আরবিত| আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম কোনটি| আল্লাহর গুণবাচক নাম অর্থ সহ|আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করার উপায়|আল্লাহর নামের ছবি| 

আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম


আসসালামু আলাইকুম,  প্রিয় দ্বীনি ভাই-বোনেরা।  আশা করছি ভালো আছেন। 


আজকে আমরা হাজির হয়েছি  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত পূর্ণ একটি আমল নিয়ে। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। তাহলে চলুন লিখা টি শেষ পর্যন্ত পড়া যাক।


আল্লাহ গুনবাচক নাম সমূহের ফজিলতঃ আল্লাহর ৯৯ নামের ফজিলত |আল্লাহর ৯৯ নামের তালিকাঃ


মহান আল্লাহর তায়ালার নাম শুধু আল্লাহ-ই নন। তিনি হচ্ছেন এমন রব যার গুনের শেষ নেই। একেক গুনের একেক নাম রয়েছে। আল্লাহ নাম সহ ৯৯ টি নাম রয়েছে তাঁর।  প্রত্যেকটি নামের রয়েছে বিশেষ মর্মার্থ ও ফজিলত। 


তাই আজকে আমরা জানতে যাচ্ছি মহান আল্লাহ তায়ালার সেসব নাম সম্পর্কে যেই নামে ডাকতে সরাসরি আল্লাহ তায়া’লা আমাদেরকে কুরআনে বলেদিয়েছেন।

সেই সাথে জানবো এই নাম সমূহের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে। 


মহান আল্লাহ তায়া’লা বলেন, 

ولله الاسماء الحسني فدعوه بها

(অলিল্লাহিল আসমাউল হুসনা ফাদউহু বিহা)

অর্থঃ আল্লাহ তায়া’লার প্রত্যেকটি নাম ই সুন্দর, অতএব তোমরা তাকে এসব নামের দ্বারাই ডাকো।


রাসুলে কারিম সাঃ বলেন, আল্লাহ তায়া’লার গুনবাচক ৯৯ টি নাম আছে, যে এগুলো মুখস্থ করিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। 


তিরমিজি শরিফে একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, রাসুল সাঃ বলেন, যে ব্যাক্তি প্রতিদিন এই নাম পড়বে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে। 


হজরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, 

عن ابي هريرة ، قال قال رسول الله صلله عليه وسلم، ان للله تعالي تسعة وتسعين اسما من احصاها دخل الجنة

অর্থাৎঃ রাসুল সাঃ বলেন, আল্লাহ তায়া’লার ৯৯ টি নাম আছে, যে ইহা মুখস্থ করিবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।  (মেশকাত) 


আরো উল্লেখ আছে কেউ যদি প্রতিদিন এই নাম সমূহ পড়ে সে কখনো অন্ন-কষ্টে পড়বে না। 


এই নাম সমূহের ফজিলত এতই বেশি যে আল্লাহ তায়া’লা নিজে সরাসরি কুরআনে বলেছেন আমরা যেন তাকে সেইসব নামে প্রতিনিয়ত ডাকি। 


এছাড়াও কেউ যদি মন থেকে আল্লাহ কে 'ইয়া রাহিম' ইয়া রাহিম' (হে রহমত ওয়ালা) বলে নির্জনে বসে ডাকে আল্লাহ তায়া’লা সেই ব্যাক্তির দিকে রহমতের নজরে তাকাবেন। ভেবে দেখুন সরাসরি আল্লাহ তায়া’লা যদি আপনার একটি ডাকের কারণে রহমতের নজরে তাকান তাহলে আপনার কি আর কিছু লাগবে? আল্লাহ কি জানেন না আপনি কোন উদ্দেশ্যে তাকে ডাকছেন? 

অবশ্যই জানেন।

 আল্লাহ তায়ালার ৯৯ টি নামের প্রতিটি নামেই রয়েছে এমন মর্মার্থ, যে  যেই উদ্দেশ্যে সেগুলোকে ডাকবে আল্লাহ তায়া’লা অবশ্যই তার দিকে তাকাবেন এবং মনের আশা পূর্ণ করবেন এটাই স্বাভাবিক।  কারণ আল্লাহ তায়া’লা নিজেই বলে দিয়েছেন আমাকে এই নামে ডাকো তোমরা।  


আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করার উপায়ঃ 

তাছাড়া আল্লাহ তায়া’লা উছিলা সমৃদ্ধ দোয়া কবুল করেন বেশি। আল্লাহ নিনেই কুরআনে বলেদিয়েছেন যেন আমরা উছিলা ধরে দোয়া করি।


 এখন আপনি যদি আল্লাহ তায়া’লা একেকটি নামের অর্থ অনুযায়ী একেক উদ্দেশ্যে ডাকেন,আল্লাহ কি আপনার ডাকে সারা দিবেন না? অবশ্যই দিবেন। আর আপনি যদি সকাল সন্ধ্যা কিংবা প্রত্যেক নামাজের শেষে সব গুলো নাম পড়ে পড়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে চোখ বিজিয়ে আল্লাহ কি আপনার দিকে তাকাবেন না? আপনার আহাজারি শুনবে না? মহান আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন তিনি রহমান, রহিম, করুনাময়।  যার নাম ই দয়াবান তিনি তো অবশ্যই আপনার ডাকে সারা দিবেন।


কিভাবে আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করবো? 


মুখস্থ শক্তি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  আমরা চাইলেই অনেকে দ্রুত কিছু মুখস্থ বা মনে রাখতে পারিনা। তবে কেউ কেউ খুব দ্রুত পারে। আবার কেউ আছে মুখস্থ করলেও মনে থাকে না। ভুলে যাই। এগুলো চাইলেও খুব পরিবর্তন করা যায় না। তবে কিছু নিয়মে চেষ্টা করলে সম্ভব হয়। আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে দ্রুত আল্লাহর গুণবাচক ৯৯ নাম মুখস্থ করবেন সেই বিষয়ে। 


যারা সত্যিই কোনো কিছু মন থেকে করার চেষ্টা করে তারা অবশ্যই পারে। হয়তো কারো একটু সময় বেশি লাগে অথবা কারো কম এইটুকু তফাৎ।  মাদ্রাসার ছোট বাচ্চারা ৩০ পারা কুরআন মুখস্থ করে ফেলে কত সুন্দর করে তিলাওয়াত করে। যেখান থেকে প্রশ্ন করা হয় সেখান থেকে পড়তে থাকে।  তাহলে আপনি আমি কেন পারবো না আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্থ করতে?  আল্লাহর উপর ভরসা করে আপনি যদি পড়া শুরু করেন তাহলে অবশ্যই পারবেন। তাই, চলুন আজকে আমরা আল্লাহ তায়া’লার ৯৯ টি গুণবাচক নাম অর্থ ও উচ্চারণ সহ শিখি। 


কিভাবে দ্রুত আল্লাহর ৯৯ গুণবাচক নাম অর্থ সহ মুখস্থ করবেন?  আল্লাহর ৯৯ মুখস্থ করার সহজ উপায়ঃ-


★শুরু প্রতিদিন ৫ টি অথবা ৩ টি করে নাম মুখস্থ করবেন।  সকাল বিকেল, ৫ ওয়াক্ত নামাজের আগে পরে এগুলো তাসবীর মতো পড়তে থাকবেন।

★ পড়ার সময় হালকা উচ্চ শব্দে পড়বেন যাতে নিজে নিজের আওয়াজ শুনতে পারেন।

★শব্দের উচ্চারণ খেয়াল করে শুদ্ধ করে পড়বেন।

★ভুল উচ্চারণ করে মুখস্থ করলে সারাজীবন ভুল টাই মুখ দিয়ে বের হবে। এতে করে সাওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হতে পারে।

★একদিনে খুব বেশি না পড়ে অল্প করে পড়বেন।

★আজকে যা পড়বেন এর আগের গুলো আগে রিভিশন দিবেন অবশ্যই। 
★পিছনের গুলো রিভিশন ছাড়া সামনে আগাবেন না। 

★অবশ্যই বাংলা উচ্চারণ খেয়াল না করে আরবি উচ্চারণ করে পড়বেন।

★অবশ্যই অর্থ সহ আরবি নাম গুলো মুখস্থ করবেন। এতে করে অর্থ জানলে মনে রাখতে পারবেন। 

★কোথাও হাটতে গেলে বা ঘুরতে গেলে ছোট একটা কাগজে কয়েকটি নাম লিখে নিবেন এবং পড়বেন। চাইলে ফোনেও চাইলে রেখে পড়তে পারেন।  অথবা এই পোস্ট টি নিজের ফেসবুকে রেখে ওখান থেকে পড়তে পারেন যখন ফ্রি থাকবেন। 

★ভাগ করে করে পড়বেন ১০-১৫ দিনে যেন দ্রুত শেষ হয়ে যায়। তবে গ্যাপ দিবেন না পড়ার সময়।  গ্যাপ দিলে যা পড়েছেন সব ভুলে যাবেন।  


আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম কোনটি?  

সবচেয়ে সুন্দর নাম কোনটি? 

বিশ্বে সবচেয়ে সুন্দর ইসলামিক নাম।

আল্লাহর পছন্দের ছেলেদের নাম


মহান আল্লাহর ৯৯ নাম ছাড়াও আরো নাম আছে তবে এর মধ্যে সবচাইতে উত্তম নাম কোনটি? 

হাদিসে উল্লেখিত আছে যে, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে উত্তম বা প্রিয় নাম হচ্ছে "আব্দুল্লাহ" এবং আব্দুর রহমান। 

আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (স) এর পিতার নাম আব্দুল্লাহ।  এছাড়াও অনেক বিখ্যাত সাহাবিদের নাম ও আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান। 

আব্দুল্লাহ এবং আব্দুর রহমান নামের অর্থ কি?

عبد الله নামের অর্থ আল্লাহর বান্দা বা আল্লাহর গোলাম। 
عبد الرحمن নামের অর্থ যিনি রহমান তার বান্দা বা গোলাম। অর্থাৎ আল্লাহর গোলাম।  


এই দুইটি নাম রাখার জন্য হাদিসে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই দেখা যায় মুসলিম বিশ্বে অনেক মুসলমান এই নাম রাখেন বাচ্চাদের। এই নামের অনেক তাৎপর্য আছে। অনেক বড় বড় ইসলামিক স্কলার এই নামে আছে। আবার অনেক বড় আলেমদের নাম ও বিদ্যমান।  



আল্লাহর ৯৯ নামের বাংলা অর্থ 

আল্লাহর ৯৯ নাম আরবীতেঃ-

আল্লাহর গুণবাচক নামঃ-

★★প্রথম দিনঃ - আল্লাহর ৯৯ টি নাম বাংলা অর্থসহ.


১। يا الله-

ইয়া আল্লাহু (হে আল্লাহ)

২।يا رحمان 

ইয়া রহমানু (হে দয়ালু)

৩। يا رحيم-

 ইয়া রহীমু (হে দয়াবান)

৪। يا مالك-

ইয়া মালিকু (হে বাদশাহ)

৫। يا قدوس-

ইয়া ক্বুদ্দূসু (হে পবিত্রতম)

৬।يا سلام-

 ইয়া সালামু (হে শান্তি দাতা)

৭। يا مؤمن-

ইয়া মুমিনু (হে নিরাপত্তা

প্রদানকারী)

৮।يا مهيمن-

 ইয়া মুহাইমিনু (হে রক্ষকারী)

৯। يا عزيز-

ইয়া আজীজু (হে বিজয়ী)

১০।يا جبار-

ইয়া জাব্বারু (হে পরাক্রমশালি)


★★২য় দিনঃ

১১। يا متكبر -

ইয়া মুতাকাব্বিরু (হে বড়ত্ব ও

মহীমার অধিকারী)

১২। يا خالق-ইয়া খালিক্বু (হে সৃষ্টিকর্তা)

১৩। يا بارئ-ইয়া বারিয়ু (হে প্রাণ দানকারী)

১৪। مصور-ইয়া মুছওয়্যিরু (হে আকৃতি দাতা)

১৫। يا غفار-ইয়া গাফ্ফারু (হে ক্ষমাশীল)

১৬। يا قهار-ইয়া কাহহারু (হে মহাশাস্তি দাতা)

১৭। يا وهاب-ইয়া ওয়াহহাবু (হে অতিশয় দাতা)

১৮।يا رزاق- ইয়া রাজ্জাকু (হে রিজিক দাতা)

১৯। يا فتاح-ইয়া ফাত্তাহু (হে বিজয় দাতা)

২০। يا عليم-ইয়া আলীমু (হে সর্বজ্ঞাতা)


★৩য় দিনঃ

২১। يا قابض--ইয়া কবিদ্বু (হে রিযিক

সংকোচনকারী)

২২। يا باسط-ইয়া বাসিতু (রিযিক প্রশস্তকারী)

২৩। يا خافض-ইয়া খফিদ্বু (হে পতনকারী)

২৪। يا رافعইয়া রাফিউ (হে উন্নতি প্রদানকারী)

২৫। يا معز-ইয়া মুইয্যু (হে সম্মান দাতা)

২৬।يا مذل- ইয়া মুযিললু (হে অপমান অপদস্তকারী)

২৭। يا سميع-ইয়া সামীউ (হে সর্বশ্রোতা)

২৮। يا بصير-ইয়া বাছীরু (হে সর্বদর্শী)


২৯।يا حكم- ইয়া হাকামু (হে আদেশদাতা)

৩০। يا عدل-ইয়া আদলু (হে ন্যায় বিচারক)


★৪র্থ দিনঃ

৩১।يا لطيف- ইয়া লাত্বীফু (হে সুক্ষ্মদর্শী)

৩২। يا خبير- ইয়া খবীরু (হে সর্বজ্ঞানী)

৩৩। يا حليم ইয়া হালীমু (হে ধৈর্যশীল)

৩৪। يا عظيم- ইয়া আযীমু (হে মহাসম্মানী)

৩৫। يا غفور-ইয়া গাফূরু (হে ক্ষমাশীল)

৩৬। يا شكور- ইয়া শাকূরু (হে মূল্যায়ণকারী)

৩৭। يا علئ ইয়া আলিয়্যু (হে সর্বোচ্চ)

৩৮।  يا كبير-ইয়া কাবীরু (হে অতি মহান)

৩৯। يا حفيظ- ইয়া হাফীজু (হে মহা রক্ষক)

৪০। يا مقيط-ইয়া মুকীতু (হে অন্নদানকারী)


★★৫ম দিনঃ

৪১। يا حسيب-ইয়া হাসীবু (হে হিসাব

পরীক্ষাকারী)

৪২। يا جليل- ইয়া জালীলু (হে মহিমান্বিত)

৪৩। يا كريم-ইয়া কারীমু (হে অনুগ্রহকারী)

৪৪। يا رقيب- ইয়া রকীবু (হে নিরীক্ষণকারী)


৪৫। يا مجيب-ইয়া মুজীবু (হে ডাকে সাড়াদানকারী)

৪৬। يا واسع- ইয়া ওয়া-ছি·উ (হে অসীম)

৪৭। يا حكيم-ইয়া হাকীমু (হে প্রজ্ঞাবান)

৪৮। يا ودود- ইয়া ওয়াদূদ (হে শ্রেষ্ঠ বন্ধু)

৪৯। يا مجيد-ইয়া মাজীদু (হে গৌরবমণ্ডিত)

৫০। يا باعث-ইয়া বা-ইছু (হে মৃতকে

জীবনদানকারী)


★★ষষ্ঠতম দিনঃ

৫১। يا شهيد-ইয়া শাহীদু (হে সর্বত্র বিদ্যমান)

৫২। يا حق-ইয়া হাকক্বু (হে সত্য প্রকাশক)

৫৩। يا وكيل- ইয়া ওয়াকীল (হে কার্যসম্পাদনকার

ী)

৫৪।  يا قوئ-ইয়া কাওয়িয়্যূ (হে মহাশক্তিমান)

৫৫। يا متين-ইয়া মাতীনু (হে অটল)

৫৬।  يا وليইয়া ওয়ালিয়্যূ (হে অভিভাবক)

৫৭। يا حميد-ইয়া হামীদু (হে প্রশংসিত)

৫৮। يا محصي-ইয়া মুহছিয়ু (হে হিসাব রক্ষক)

৫৯। يا مبدىٔ- ইয়া মুবদিউ (হে প্রথম সৃষ্টিকারী)

৬০। يا معيد-ইয়া মুঈদু (হে পুনরায় সৃষ্টিকারী)


★★৭ম দিনঃ 

৬১। يا محيي- ইয়া মুহয়ী (হে জীবনদাতা)

৬২। يا مميت-ইয়া মুমীতু (হে মৃত্যুদানকারী)

৬৩।  يا حي-ইয়া হাইয়্যু (হে চিরঞ্জীব)

৬৪। يا قيوم-ইয়া কাইয়্যুমু (হে স্বয়ংপ্রতিষ্ঠিত

৬৫। يا واجد-ইয়া ওয়াজিদু (হে সবকিছু পাওয়ার

অধিকারী)

৬৬। يا ماجد-ইয়া মাজিদু (হে গৌরবময়)

৬৭। يا واحد الاحد- ইয়া ওয়াহিদুল আহাদু (হে এক এবং

একক)

৬৮। يا صمد-ইয়া ছমাদু (হে মুখাপেক্ষীহীন)

৬৯। يا قادر - ইয়া কদিরু (হে ক্ষমতাবান)

৭০। يا مقتدر-ইয়া মুকতাদিরু (হে ক্ষমতাশালী)


★★৮ম দিনঃ

৭১। يا مقدم-ইয়া মুকাদ্দিমু (হে শীঘ্র

সম্পাদনকারী)

৭২। يا مؤخر-ইয়া মুওয়াখখিরু (হে বিলম্বে

সম্পাদনকারী)

৭৩।  يا اول-ইয়া আউয়্যালু (হে সর্বপ্রথম)

৭৪।  يا اخير-ইয়া আখিরু (হে সর্বশেষ)

৭৫।  يا ظاهر-ইয়া জহিরু (হে প্রকাশ্য)

৭৬। يا باطن-ইয়া বাতিনু (হে অপ্রকাশ্য, গুপ্ত)

৭৭। يا وا لي-ইয়া ওয়ালিয়ু (হে অভিভাবক)

৭৮।   يا متعاليইয়া মুতাআলী (হে সর্বোচ্চ)

৭৯।  يا بر-ইয়া বাররু (হে অনুগ্রহকারী)

৮০।  يا تواب-ইয়া তাওয়াবু (হে তওবা গ্রহণকারী)


★★৯ম তম দিনঃ


৮১। يا منتقم-ইয়া মুনতাকিমু (হে প্রতিফল

দানকারী)

৮২।  يا عفؤইয়া আফুয়্যু (হে ক্ষমাশীল)

৮৩।  رؤؤف-ইয়া রাউফু (হে স্নেহপরায়ণ)

৮৪।  يا مالك-ইয়া মালিকুল মুলক (হে রাজ্যাধিপতি)

৮৫।   يا جوالجلال ولإكرام-ইয়া যুলজালালি ওয়াল ইকরাম (হে

মহিমা ও সম্মানের অধিকারী)

৮৬।  يا مقسط-ইয়া মুকসিতু (হে ইনসাফ

প্রতিষ্ঠাকারী)

৮৭।  يا جامع-ইয়া জামিউ (হে কেয়ামত দিবসে

বান্দাদেরকে একত্রকারী)

৮৮। يا غنئ- ইয়া গানিয়্যু (হে ধনী)

৮৯।৷ يا مغني- ইয়া মুগনিয়্যু (হে ধনদানকারী)



★★১০ম তম দিনঃ

৯০।৷ يا مانع- ইয়া মানিউ (হে বিপদ

প্রতিরোধকারী)

৯১।  يا ضار-ইয়া দ্ব-ররু (হে ক্ষতিগ্রস্থ করার

মালিক

৯২। يا نافع-ইয়া নাফিউ (হে লাভবান করার

মালিক)

৯৩। يا نور-ইয়া নূরু (হে নুর প্রদানকারী)

৯৪। يا هادئ- ইয়া হাদিউ (হে পথ প্রদর্শক)

৯৫।  يا بديع-ইয়া বাদীউ (হে অদ্বিতীয় স্রষ্টা)

৯৬।৷ يا باقئ--ইয়া বাকিয়ু (হে চিরস্থায়ী)

৯৭।  يا وارث-ইয়া ওয়ারিছু (হে উত্তরাধিকারী)

৯৮।  يا رشيد-ইয়া রশীদু (হে সত্যতা পছন্দকারী)

৯৯।  يا بور- ইয়া ছবূরু (হে ধৈর্যশীল)



আশা করি আপনারা সকলে উপকৃত হবেন।

লিখাটি ভালো লাগলে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে সাদকায়ে জারিয়ে হিসেবে আপনার বন্ধুদের সাথে ফেসবুকে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ, জাজাকাল্লাহ খাইরান। 

মা'আসসালাম।


Post a Comment

Previous Post Next Post