ইউটিউব কত ভিউতে কত টাকা দেয়? ইউটিউব নিয়ে আদ্যোপান্ত জানুন..

 ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়? ইউটিউবের আর্নিং প্রসেসিং বিস্তারিত.


এই প্রশ্নের উত্তর টি যদি সঠিকভাবে পেতে চান তাহলে পুরো লিখাটি পড়তেই হবে আপনার নতুবা বিষয়টা কারো কাছেই ক্লিয়ার হবে না।



প্রথম কথা হলো ইউটিউবে কত ভিউতে কত টাকা আসে বা পাবেন এর সহজ উত্তর দেয়া আসলেই মুশকিল।  নিচে কিছু বিষয়  তুলে ধরা হলো যেগুলো খেয়াল করলে পুরো ব্যাপারটি বুঝতে সহজ হবে। 



★★★ইউটিউবে ভিডিও ভিউয়ের ব্যাপারটি তেমন কিছু নাঃ


কি অবাক হচ্ছেন? হতেই পারেন। সাধারণত আমরা জানি যত ভিউ বেশি তত টাকা। আসলে ব্যাপারটি তেমন না। 

এমন অনেক চ্যানেল আছে যাদের ভিডিওর ভিউ অনেক বেশি কিন্তু টাকার বেলায় ঐরকম না। আবার অনেকের ভিউ উল্লেখযোগ্য না হলেও টাকা ভালো পাচ্ছেন। 


তাহলে আসল ব্যাপারটা কি? টাকা কিভাবে আসে? ইউটিউব কি এভাবেই টাকা দেয় ইউটিউবারদের? না তা হবে কেন! ইউটিউবের আর্নিংয়ের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ভিডিওতে বিভিন্ন  অ্যাডের উপর। অ্যাড যতো বেশি আর্নিং ও ততো বেশি।


এখন আপনার প্রশ্ন থাকতে পারে ভিউ ছাড়া কেন অ্যাড দিবে ইউটিউব? হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপনি।  আপনার ভিডিওতে ভিউ বেশি হওয়া মানে হচ্ছে আপনার ভিডিও মানুষ বেশি দেখে,গুরুত্বপূর্ণ বেশি,আপনার ভিডিও এর প্রতি পাবলিকের আগ্রহ বেশি। তাই যেখানে পাবলিকের আগ্রহ বেশি সেখানে ইউটিউব অ্যাড দেয় বেশি। 


আপনারা একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন আমরা যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখি তখন  একই চ্যানেলের ভিডিও হওয়া সত্বেও সব ভিডিও তে অ্যাড থাকে না। অর্থাৎ ইউটিউব এড দেয়না। এর কারণ হলো ইউটিউব এমনেই এমনেই এড দেয়না কোনো ভিডিও তে। যেই ভিডিওর চাহিদা বেশি বা যেই চ্যানেলের চাহিদা বেশি সেসব চ্যানেলের ভিডিও তে দেখা যায় একের অধিক অ্যাড আসে। তারপরেও আমরা সেসব ভিডিও দেখি। এমনকি অ্যাড শেষ কিংবা স্কিপ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করি পুরো ভিডিও শেষ করতে। এগুলো কখন করি? যখন ভিডিও টি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। 


আবার অনেক চ্যানেলের ভিডিও আছে যেগুলোর ভিউ বেশি হওয়া সত্বেও আর্নিং কম। এর কারণ কি? এর একটি সুক্ষ্ম কারণ হলো, যখন আমরা একটি ফানি ভিডিও কিংবা এমন একটি ভিডিও যেটার পুরো টা ভিডিও আপনার দেখার তেমন কোনো ইন্টারেস্ট নাই। এই সামনে পরেছে তাই ক্লিক করেছেন। তবে ভিডিওতে ক্লিক করাতে ভিউ কিন্তু হয়ে গেলো ভিডিওর। তারপর যখন এই ভিডিও তে একটা অ্যাড শুরু হবে ঠিক তখনি আপনি অ্যাড স্কিপ করে দিবেন কিংবা অন্য একটি ভিডিওতে ক্লিক করে ফেলবেন এটাই স্বাভাবিক।  কারণ আপনি এই অহেতুক ভিডিওটি শেষ করতে আগ্রহী না অ্যাড শো করার পরেও।  


আর যেহেতু আপনি অ্যাড দেখেন নি কিংবা একটু দেখে বাদ দিয়েছেন তাই ইউটিউবার তার ভিডিও তে ভিউ পেলেও অ্যাড কিন্তু শো করাতে পারেনি আপনাকে।

তারমানে কি দাড়ালো বিষয়টি? ভিডিওতে ভিউ হলেই টাকা বেশি না অ্যাড বেশি হলে টাকা?

আশা করি এইটুকু অন্তত বুঝতে পেরেছেন। চলুন এবার ২ নাম্বার টার্মটি দেখি।


★★ অ্যাডের মূল্যের উপর আর্নিং ডিপেন্ডঃ 


এই যে ইউটিউব ইউটিউবারদের ভিডিওতে এত এত অ্যাড দেয় এগুলো কোথা থেকে দেয়? কোত্থেকে আসে?  চলুন জেনে নেই।

(২০২১ সালে তরুণরা ঘরে বসে যে ২০ টি উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেClick here to read this article

আমাদের দেশে কিংবা দেশের বাহিরে বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ, কোটি  কোম্পানি আছে যারা তাদের কোম্পানি কিংবা বিজনেস টিকিয়ে রাখতে বিজ্ঞাপন দিতে বাধ্য। এই জন্যই বাধ্য  যদি তাদের কোম্পানি সম্পর্কে আমরা না-ই জানি তাহলে তাদের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন করবো-ই বা কিভাবে, জানবো কিভাবে? পাবলিক না জানা মানে হচ্ছে বিজনেস টিকিয়ে রাখাও অসম্ভব।  তাই তাদের টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি অর্থ যেখানে খরচ হয় সেটা হলো বিজ্ঞাপন। 


আপনি জেনে আরো অবাক হবেন যে কোনো একটা কোম্পানির একটি টুথব্রাশের বাজারে  বিক্রয়  মূল্য যদি ৫০ টাকা হয় আর  কোম্পানির সরাসরি আসল খরচ যদি ৪০ টাকা হয় এই ৪০ টাকার প্রায় ২০ টাকা কিংবা এর চাইতে বেশি খরচ হয় তাদের শুধু বিজ্ঞাপন কিংবা এডভারটাইযিং এর জন্য।  অর্থাৎ ২০-২৫ টাকার জিনিসটার বিক্রয় মূল্য হয়ে যাচ্ছে ৫০ টাকা।



তো এত এত বিজ্ঞাপন তারা কোথায় দেয়? একটা সময় ছিলো একমাত্র বিজ্ঞাপন দেয়ার জায়গায় সেটা হলো টিভি। কিন্তু দিন যতো যাচ্ছে টিভির প্রতি মানুষের অনীহা  ততই বাড়ছে। এখন আপনার হাতে থাকা ফোন কিংবা লেপটপ টি-ই আপনার টিভি,ফোন,সিরিয়াল,নাটক দেখা থেকে শুরু করে অনেক কিছুর উৎস বিজ্ঞাপন দেয়ার। তাই তারা চুক্তি করে গুগল কিংবা ইউটিউবের সাথে। সেটা হতে পারে মাসিক কিংবা বাৎসরিক। 



★বর্তমানে গুগলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে ইউটিউব। যেখানে প্রতি সেকন্ডে বিলিয়ন,বিলিয়ন মানুষের আসা যাওয়া। প্রতি সেকন্ডে ভিডিও আপলোড হচ্ছে হাজার হাজার, লক্ষ, কোটি। সাথে বাড়ছে ইউটিউবারদের সংখ্যাও। তাই কোম্পানি গুলো ইউটিউবের সাথে চুক্তি করে বিজ্ঞাপন দেয়ার, যে এত মিনিট কিংবা এত এত বিজ্ঞাপন দেখাতে পারলে তোমাদেরকে এত টাকা দিবো আমরা। তারপর ইউটিউব সেগুলো শো করে আপনার আমার সামনে। এতে করে এই বিজ্ঞাপনের কিছু অংশ পায় সরাসরি ইউটিউব কিংবা গুগল আর বাকি অংশ পায় ভিডিও পাবলিশার বা ইউটিউবার। 


এখন কোনো কোম্পানির সাথে যদি কম দামে বিজ্ঞাপনের চুক্তি হয় তাহলে সেখান থেকে ইউটিউব ও লাভের অংশ কম পাবে আপনিও কম পাবেন নিশ্চিত।  আবার যদি ওর উল্টো হয় তখন আপনিও বেশি পাবেন।  তাই টাকা কম বেশি আর্নিং এর ব্যাপার টা বিজ্ঞাপনের মূল্যের উপর কিছুটা নির্ভর করে। 


চুক্তির ক্ষেত্রে কম বেশি হওয়ার কারণ হলো, বিশ্বব্যাপী যেমন অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে তেমনি ছোট ছোট কোম্পানিও আছে। বড় বড় কোম্পানি টাকা দেয় বেশি অ্যাড ও শো করায় বেশি। আবার ছোট গুলো এর বিপরীত ও হতে পারে তাই। 


এবার আসুন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নেই।


★★★ ইউটিউবে আপনার চ্যানেলের ভিডিও কোন দেশের মানুষ  দেখছে সেটার উপর আর্নিংয়ের ব্যাপারটি ডিপেন্ড। 



আপনার ভিডিও কন্টেন্ট যদি এমন হয় যেগুলো সারা বিশ্বের মানুষের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাহলে সারা দুনিয়া থেকে দেখবে। এখন দুনিয়ার সকল দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এক না। আপনার ভিডিও যদি এমন হয় যে শুধু আমেরিকা, কানাডা,অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য কিংবা ইউরোপের  অধিবাসী মানুষেরা বেশি দেখে তখন আপনার আর্নিং ও বেশি হবে। আবার যদি সাধারণত কোনো দেশের মানুষ দেখে তখন আপনার আর্নিংও কম হবে। 

সাধারণত বাংলাদেশি ইউটিউবারদের চ্যানেলে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালাশিয়া কিংবা এশিয়ার দেশ গুলোর মানুষেরা বেশি দেখে। ধরেন আপনার একটি ভিডিও তে যদি আমেরিকার কোনো এক লোক একটি এড দেখে তখন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ টাকায় ২০+ টাকা পর্যন্ত দিবে। আবার সেইম জিনিস যদি ইন্ডিয়া থেকে দেখে তখন সেটাই আবার ৫ টাকা মাত্র।  এছাড়াও এমন অনেক বিষয় আছে ইউটিউবের যা নিশ্চিত ভাবে জানা মুশকিল। 


(২০২১ সালে তরুণদের যে ১০ টি দক্ষতা থাকলে নিশ্চিত কাজের অভাব না। Click here to read this article


★★ইউটিউবে বেশি ভিউ হলে বেশি আর্নিং সম্ভাবনাঃ  


ভিডিও এমনিই এমনিই বেশি ভিউ হয়না। ভিউ হওয়ার অন্যতম কারণ আপনার ভিডিও দেখতে পাবলিকের আগ্রহ বেশি। বেশি আগ্রহী বলেই বেশি দেখে বেশি ক্লিক করে। তখন কেউ না কেউ এড দেখবে বা দেখতে বাধ্য। আর যেখানে বেশি মানুষ সেখানেই গুগল এড দেয় বেশি সহজ বিষয়। 


★★ ইউটিউবে আর্নিং কম/বেশি হওয়ার কারণঃ 

ক★

এমন অনেক সময় দেখা গেছে ২ বন্ধ একই সাথে চ্যানেল খুলেছে, একই সমান ভিউ কিন্তু আর্নিং এর বেলায় ব্যাতিক্রম দৃশ্য। একজনে ২০ টি ভিডিও টাকা পাচ্ছে অনেক বেশি আবার একজনে ১০ টি ভিডিও  দিয়েও এর চাইতে বেশি পাচ্ছে টাকা।  এর কারণ হয়তো আপনারা জেনে গেছেন উপরে লিখাটি পড়ে। 

আবার বলছি, এর কারণ হলো একজনের ভিডিও এর কোয়ালিটি ভালো, অল্প ভিডিও বা অল্প ভিউ হলেও সম্পূর্ণ ভিডিও দেখে বেশি পাবলিক, এড ও শো হয় বেশি তাই টাকাও বেশি পায়। আবার আরেকজনের ভিউ বেশি কিন্তু ভিডিও মানসম্মত না হওয়াতে এড শো হয় কম তাই আর্নিং ও কম। 

খ★ বাংলায় কথা বললে দেশের বাহিরের মানুষ দেখবে কম। তাই ইংরেজিতে কথা বলতে পারলে বা এমন ভিডিও যেটা যে-কেউ দেখতে পারে তখন আপনার ভিউ+অ্যাড সংখ্যাও বেশি এবং টাকাও বেশি।

★★★ইউটিউব আপনাকে কখন টাকা দেয়া শুরু করবে? 


এই বিষয় টি জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে মনিটাইজেশন সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই মনিটাইজেশন কি, কিভাবে কাজ করে এটা।


★★★গুগল  অ্যাডসেন্স কি? কিভাবে কাজ করে?


ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স টা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।  তবে এটা যেকোনো সময় ই অন করা যায়। শুধু একটি ইমেইল লাগবে। তারপর স্টেইপ বাই স্টেইপ তথ্য দিলে এটি হয়ে যাবে। যে যত টাকাই আর্ন করে এই গুগল অ্যাডসেন্ট ছাড়া টাকা আপনার হাতে পাওয়া সম্ভব না। কারণ মানুষ যখন অ্যাড দেখবে তখন সেই টাকা এসে জমা হবে ইউটিউব চ্যানেলে আপনার। আর ইউটিউব হচ্ছে গুগলের একটা সেবা। পরবর্তীতে গুগল অ্যাডসেন্ট  ইউজ করেই আপনি আপনার টাকা আপনার নিজস্ব ব্যাংকে জমা রাখতে পারবেন উঠাতে পারবেন। তবে নির্দিষ্ট এমাউন্ট না হওয়া পর্যন্ত সেই টাকা উঠানো যায়না।


★★★মনিটাইজেশন কি? মনিটাইজেশন এর শর্ত কি কি?


মনিটাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন ইউটিউবার,ব্লগার,ওয়েবসাইট সহ সামাজিক অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম যেমন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটার সহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যে আর্নিং করা হয় তাকে মনিটাইজেশন বলে। আর এসব ক্ষেত্রে সব দিক দিয়ে আপনাকে যাচাই-বাছাই করবে গুগল কিংবা গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো। 

সাধারণত গুগল থেকেই এই আয় করা সম্ভব কারণ অধিকাংশ সাইট গুলোই গুগলের।  


 এখন মনিটাইজেশন কি জিনিস বুঝলেন, কিন্তু কিভাবে কাজ করে বা এটার শর্ত কি,কখন থেকে শুরু হবে, কি করতে হবে মনিটাইজেশন পেতে হলে?  


★★★মনিটাইজেশন পেতে যা যা শর্ত পূরণ করতে হবে আপনার:


★*১, আপনি চাইলেই ইউটিউবে যেকোনো সময় মনিটাইজেশন পাবেন না। অর্থাৎ আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। তারপর ধাপে ধাপে আগালে হয়ে যাবে। 

★*২...

১০ হাজার ভিউ হতে হবে। এটা শুধু একটা নির্দিষ্ট ভিডিও না পুরো চ্যানেল মিলে ১০ হাজার ভিউ না হওয়া পর্যন্ত আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন ই করার সুযোগ পাবেন না।


★৩...

 ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচটাইম হতে হবে আপনার পুরো চ্যানেলে। 

★৪... 

১০০০ সাসক্রাইবার থাকতে হবে। এর কম হলে আপনি একটি শর্ত পূরণ করতে ব্যার্থ হলেন, তাই আবেদন ও করতে পারবেন না মনিটাইজেশন এর জন্য। 

★৫.... উপরের এই শর্ত গুলো পূর্ণ হলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করলেন। এখানেই শেষ না। 

★৬.... এর পর গুগল বা ইউটিউব আপনার সব তথ্য যাচাই-বাছাই করবে। যাচাইয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকলে আবেদন এপ্রুভ হবে। 


★৭…... অ্যাড শো শুরুঃ 

সবশেষে এড দেখানো  করা শুরু হবে। সাধারণত সব ঠিকঠাক না থাকলে ইউটিউব এড দেয়না।

অ্যাড দেখা শুরু হলেই আপনি টাকা পাওয়া শুরু করবেন।


★★ইউটিউবে সফল হতে কি করবেন?


ইউটিউব  এত এত শর্ত দিলেও এগুলো অতিক্রম করতে আপনার কোনো সমস্যা কিংবা খুব বেশি সময় লাগবে না। আপনি ভিডিও কোয়ালিটি ঠিক রাখলে খুব অল্প সময়ে এসব ধাক্কা এড়িয়ে যেতে পারবেন দ্রুত। শুধু রেগুলার ভিডিও দিতে হবে। বাকি কাজ ইউটিউব কর্তৃপক্ষের।


রেগুলার বলতে বছরে একবার ভিডিও না। সপ্তাহে একটা কিংবা মাসে ১-২ টি ভিডিও দিলে আর ভিডিও কোয়ালিটি ভালো হলে দ্রুত ভালো রেসপন্স পাওয়া সম্ভব ইউটিউব থেকে। এবং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এটাই। এর জন্যই এত এত জনপ্রিয় হচ্ছে দিন দিন ইউটিউবিং।



তো ঘুরেফিরে একই কথা, ইউটিউব কিংবা অন্যান্য সাইট থেকে আর্নিং সোর্স হলো অ্যাড। যত অ্যাড তত টাকা আর যত ধোনি দেশের লোক আপনার সাইটে কিংবা ভিডিও দেখবে ততো বেশি আর্নিং আপনার। 

★★★…... ইউটিউবে ভিউ কিংবা আর্নিং কম হওয়ার কারণঃ 


বাংলাদেশি অধিকাংশ ইউটিউবার রা বাংলায় কথা বলে। বাংলায় কথা বলা মানে হচ্ছে বাংলাদেশি মানুষেরাই আপনার ভিডিও দেখার তুলনামূলক সম্ভাবনা বেশি। তাই চেষ্টা করবেন ইংরেজি কিংবা মানসম্পন্ন ভিডিও বানানোর যাতে করে অন্য দেশের মানুষেরা সাবটাইটেল ইউজ করে হলেও আপনার ভিডিও দেখে।


আশা করছি আপনারা বিষয় টি বুঝতে পেরেছেন।  এখনো কোনো সন্দেহ থাকলে কমেন্ট করে জানান। লিখাটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সাথে। 


আর কোন কোন বিষয়ে আপনারা লিখা পেতে চান  আমাদেরকে জানাবেন বলে আশাবাদী।  


লিখাটি কেমন হয়েছে? 

ধন্যবাদ পুরোটা লিখা পড়ার জন্য।

ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই ফিরবো আরো লিখা নিয়ে।





Post a Comment

Previous Post Next Post