মাছের সম্পূরক খাদ্য কি? মাছের সম্পূক খাদ্যের তালিকা

মাছের সম্পূরক খাদ্য কি? মাছের সম্পূক খাদ্যের তালিকা।


bright life 71
মাছের সম্পূরক খাদ্য তালিকা 



বাংলাদেশ ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এদেশে নেই কি? ছোট্ট একটি দেশ হয়ে এর আছে অনেক সম্ভাবনাময় দোয়ার।  কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য অন্যান্য দেশের জন্য স্বপ্ন বটে।  বাংলাদেশের এমন একটি সম্ভাবনার নাম হচ্ছে মাছ চাষ। বাংলাদেশে বানিজ্যিক ভাবে মাছের চাষ করা হলেও কিছু চাষীরা সাফল্য খুঁজে পান না। এর অবশ্য অনেক কারণ আছে। 

কেন মাছ চাষে লাভজনক  হচ্ছে না কারণ গুলো জানতে পড়ুন এখানে।

মানুষের যেমন সুষম খাদ্যের অভাবে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, কর্মক্ষমতা থাকে না। প্রোডাক্টিভিটি কমে যায় ঠিক তেমনি মাছের ক্ষেত্রেও এমন কিছু হয়ে থাকে। মাছ চাষে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩-৫ অবস্থানে।  কিন্তু সঠিকভাবে মাছ চাষ করলে সেটা আরো এগিয়ে আসা সম্ভব।  

প্রত্যেক কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে। যেগুলো পালন করলে সফলতার ভাগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।  আজ আমরা আলোচনা করবো মাছের খাদ্য নিয়ে৷ কোন মাছ কি কি পরিমান খাবার দিতে হবে। এবং কেমন খাবার দিতে হবে এমন কিছু বিষয় নিয়ে। 


মাছের প্রজাতি, বয়স ও আকারের উপর ভিত্তি করে খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা বিভিন্ন হয়।প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন মাছের রেনু পোনার জন্য দেহের ওজনের ১০-২০%,  আঙুলে পোনার জন্য ৫-১০% এবং বড় মাছের জন্য ৩-৫% হারে সম্পূক খাদ্য প্রয়োগ করতে হয়।

সুস্থ সবল মাছ ও এর দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধির জন্য মাছের খাবারের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকা আবশ্যক।  এসব উপাদানের মধ্যে আমিষ বা প্রোটিন  গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয় বহুল।


মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান যেমিন - শর্করা, তেল অ খনিজ লবন কম- বেশি বিদ্যমান থাকে। এসব খাদ্যে আমিষের এই চাহিদা পূরণ হলে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানগুলোর খুব একটা অভাব হয় না। খাদ্যে আমিষের এই চাহিদা প্রজাতি ও জীবনচক্রের  বিভিন্ন স্তর ভেদে কার্প বা রুই জাতীয় মাছের জন্য ২০-৩০%, চিংড়ির জন্য ৩০-৪৫% ও ক্যাটফিশ বা মাগুর জাতীয় মাছের জন্য ৩৫-৪৫% থাকে।

মাছের সুষম খাদ্য তালিকাঃ

কার্প বা রুই জাতীয় মাছ চাষের ক্ষেত্রে নিম্নের উপাদানগুলোর মিশ্রণে সুষম সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা যায়-


ফিসমিল =১০-২১%
সরিষার খৈল= ৪৫-৫৩
চালের কুঁড়া= ২৮-৩০
ভিটামিন ও খনিজ লবন=০.৫-১.০
চিটাগুড় ও আটা=৫%
মোট।                 =১০০%



মাছের সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত প্রণালিঃ

প্রথমে ভালো মান সম্পন্ন নির্ধারিত খাদ্য উপাদানসমূহ সংগ্রহ করতে হবে।উওয়াদান সমূহ প্রয়োজনে আটা পেষা মেশিনে বা ঢেঁকিতে ভালো করে চূর্ণ বা গুঁড়া করে নিতে হবে এবং চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। তার ভালো করে সকল উপাদান মিশিয়ে নিতে হবে। মেশানো উপাদানগুলোতে পানি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মণ্ড তৈরি করতে হবে। এখন মণ্ড ছোট ছোট বলের মত তৈরি করে ভেজা বা আর্দ্র খাদ্য হিসেবে মাছকে দিতে হবে মাছকে সরবরাহকৃত খাবার পানিতে বেশি স্থিতিশীল রাখার জন্য বাইন্ডার হিসেবে আটা বা ময়দা বা চিটাগুড় ব্যবহার করা যায়।


আবার এই মণ্ড দিয়ে সহজ পদ্ধতিতে স্বল্প মূল্যে দেশীয় পিলেট মেশিনের সাহায্য পিলেট বা দানাদার খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পিলেট বা দানাদার খাবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য বায়ুরোধী প্লাস্টিক ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে। খৈলে কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকে,যা মাছের জন্য ক্ষতিকর।

তাই খৈল একদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয় খৈল ভেজানো পানি মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে না। সুষম খাদ্য তৈরির জন্য নির্বাচিত খাদ্য উপাদানের সাথে.০-৫-১% ভিটামিন ও খনিজ লবনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে।
তবে ভিটামিন ও খনিজ মিশ্রণ কিনতে পাওয়া যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post