কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ সমূহ। শরীরে কিডনির কাজ কি?


কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার লক্ষণ সমূহ শরীরে কিডনির কাজ কি?



দৈনন্দিন জীবনের এই তাড়াহুড়া অসুস্থ হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয় তবে আমরা একটু সময়  নিয়ে ভাবিনা যে  শরীরের উপর আমরা কতটা চাপ ফেলছি আর আমাদের শরীর তা নিতে পারছে কিনা তবে কোনো শরীরের অঙ্গ যেভাবে কাজ করার কথা সেভাবে যদি কাজ না করে আপনাকে শরীর বিভিন্ন ভাবে সিগ্ন্যাল দিবে আর এই সিগ্ন্যাল গুলোকে মূল্য না দিলে তার ফল ভয়াবহ হতে পারে আজকে আমরা জানব এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে যা বলে দিবে যে আপনার কিডনি ঠিক মত কাজ করছেনা চলুন তাহলে জেনে নেই সেই লক্ষণ গুলো তবে এর আগে আমরা জানবো শরীরে কিডনির কাজ কি

শরীরে কিডনির কাজঃ কিডনি আসলে আমাদের দেহ থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে সব ধরণের  টক্সিন বেড় করে দেয় তাই কিডনিকে আপনি আপনার শরীরের ময়লা সংগ্রহকারী বলতে পারেন তাছাড়া আমরা  প্রতিদিন যত ভাজা পুড়া খেয়ে থাকি এর থেকে যত বিশাক্ত আছে তা কিডনির মাধ্যমে পরিস্কার হয়ে বের হয়ে যায় আমাদের শরীর থেকে আপনার কিডনি ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই এসব খাবার এরিয়ে চলা ভালো যদি আপনার কিডনি ভাল না থাকে তাহলে টক্সিন আপনার শরীরেই থেকে যাবে এবং বিভিন্ন রোগ ছড়াতে থাকবে আর আপনার আরামের ঘুম হারাম করে দিবে


.ঘুমের সমস্যাঃ যখন কারো শরীরে কিডনির সমস্যা হয় তখন তার ঘুমের অভাব হতে থাকে দিনের পর রাত বিছানায় শুধুই শুয়ে থাকা এমন হলে হতে পারে সেটা কিডনির সমস্যা তবে দিনের মধ্যে অনেক বেশিবার যদি আপনি চা কফি খেয়ে থাকেন তাহলে ঘুমের সমস্যা হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয় যদি এমন না হয় ,আপনি যদি বিছানায় শুয়ে শুয়ে এক,দুই,তিনই গুনে যাচ্ছেন তাহলে হয়তো আপনার কিডনি চেক করার সময়  এসে গেছে

. মাথা ব্যাথা ,দুর্বল,অ্বসাদ লাগাঃ লোহিত রক্ত কণিকা  পুরো শরীরে অক্সিযেন বহন করে যেটা আপনাকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে যার দেহে এই লোহিত রক্ত কণিকা যত কম তার দেহে ততো তাড়াতাড়ি ক্লান্ত অনোভব হবে

.  ইপিউ নামে এক ধরণের হরমোন রয়েছে যেটা লোহিত কণিকা রক্ত উৎপন্ন করে এখন বলুনতো এই হরমোন কোথা থেকে উৎপন্ন হয়? হ্যা  কিডনি থেকে যখন আপনার কিডনি শক্তিশালী থাকে তখন এটা ভিটামিন উৎপন্ন করে যা হারকে মজবুত করতে সহায়তা করে এবং ইপিউ উৎপন্ন করে তাই যদি আপনি যথাযত বিশ্রাম নেওয়ার পরও  ক্লান্ত অনুভব করলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন

. যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা রক্তস্বল্পতায় ভূগে থাকেনশরীর যদি শুষ্ক হয় বা চুলকায় অতিমাত্রায় তাহলে আপনার জন্য এটা মোটেই সু সংবাদ নয় কারণ কিডনি আমাদের দেহ থেকে টক্সিন বের করে এবং রক্তে লোহিত কনিকা বৃদ্ধি করে এবং মিনারেলের চাহিদা বৃদ্ধি করে তবে আপনার তক যদি অনেক শুস্ক হয় চুলকায় তাহলে এটা একটা স্পস্ট লক্ষন  যে আপনার দেহ  সঠিক পরিমানে খনিজ পদার্থ পুষ্টি উপাদান পাচ্ছেনা খনিজ পদার্থের  এই ঘাটতি হারের রোগ হতে পারে তাই শরীরের এই শুস্কভাব দূর করতে অধিক পরিমানে পানি খাবেন তবে এই সময় ডাক্তারের পরামর্ষ ছাড়া কোনো চুলকানির ঔষধ খাওয়া ঠিক হবেনা
.নিশ্বাসে দুরগন্ধঃ মুখে দুরগন্ধ দাতবস্বার হওয়াও জানান দেয় যে আপনার কিডনি হুমকির সম্মুক্ষিণ যখন আপনার রক্তে প্রচুর পরিমানে ময়লা জমে যায় তখন এমনটা হয় এবং খাবারের স্বাদ ধাতব ,পানসে,তামাটে লাগে
.শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমে গেলে  মানুষ খাওয়ার রুচি হাড়িয়ে ফেলে যখন আপনার খাওয়া দাওয়া কমতে থাকবে  তখন ওজন কমে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে থাকবে তবে মনে রাখবেন এলার্জি বা মুখে অন্য কোনো কারণেও খাবারের স্বাদ অন্যরকম লাগতে পারেতবে এই সমস্যা সমাধান হলে আপনার খাওয়ার রুচিও ফিরে আসবে তবে এর ব্যাতিক্রম হলে ডাক্তারের পরামর্ষ নিতে হবে
. কিডনি যখন ঠিক ভাবে কাজ করেনা  তখন শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় তরল প্রদার্থ বের হতে পারেনাফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ (যেমন হাত,পা,হাটু,কমড়,পেট)ফুলে ভারি হয়ে যায়

.মাজা ব্যাথা আরেকটি কমন সমস্যা যা চমকানুর কিছুই নেই কারণ আপনার পিঠের পিছনেই দুটি কিডনি অবস্থিত তবে কিছু কিছু মানুষ  রানের দিকে এবং পিছনের  দিকেও ব্যাথা অনুভব হয় তবে এইধরণের ব্যাথা কিডনির কারণেও হয়ে থাকে তবে এমন হলে না ঘাবরিয়ে দেখুন ঘন ঘন প্রস্রাব,জ্বর আসা, বমি হওয়ার সমস্যা আছে কিনা এগুলো যদি না থাকে তাহ্লে আপনি নিরাপদ
.

Post a Comment

Previous Post Next Post