কিভাবে মেথি ব্যাবহার করবো? মেথির উপকারিতা - Fenugreek Seeds Benefits and uses

মেথির গুনাগুন, যেভাবে মেথি খেতে হয়।


মেথিকে বলা হয় প্রায় সকল রোগের ঔষধ। কি সেই মেথির গুনাগুন?কিভাবে খাবেন মেথি?

Bright life 71
মেথি কি ? কিভাবে মেথি খায় ব্যবহার করে ? মেথির উপকারীতা



মেথির নাম কম বেশি সবায় জানে মেথির স্বাদ তিতা হয়ে থাকে তবে এর এমন অনেক গুন আছে যেগুলো অনেকেরই অজানা মেথিকে সব রুগের ঔষধ বলে অনেকে চলুন জেনে নেই মেথি সম্পর্কে কিছু অসাধারণ তথ্য

১. চিনি আমরা কম বেশি সবায় বিভিন্ন ভাবে খাইতবে, চিনি বেশি খেলে রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় শরীরে চিনির মাত্রা কমানোর জন্য বিস্ম্যকর শক্তি হিসেবে কাজ করে এই মেথিডাইবেটিস রোগের জন্য খুব ভাল ঔষধ হিসেবে কাজ করে এই মেথি।

.সকালে খালি পেটে মেথি খেলে পাওয়া যাবে নানাবিধ উপকার। যারা নিয়মিত মেথি খান,তাদের বুড়িয়ে যাওয়ার গতিটা অত্যন্ত ধীর হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে  মেথি চিবিয়ে খেলে বা রাতে এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি পান করলে শরীরের রোগ-জীবানু সব মরে ধবংস হয়ে যাবে।

. বিশেষ করে মেথি কৃমির জম। নিয়মিত মেথি খেলে শরীরের রক্ত পরিস্কার  ও কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। ডায়বেটিসের রোগী থেকে শুরু করে রিদ রোগ পর্যন্ত সবায়কে তাদের খাবারে মেথি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।



. মেথির গুনাগুনের কারণে একে অন্যতম সুপার ফুড বলা হয়। দিনে দুই-তিনবার মেথি চিবাতে থাকলে  বেশি না খেয়েও সব সময় পেত ভরা মনে হবে। যারা ওজন কমাতে চান, তারা মেথি কাজে লাগাতে পারেন।

.সর্দি-কাশিতে মেথি কার্যকর ভূমিকা রাখে। সর্দি-কাশির সময় মেথি খেলে সর্দি-কাশি আপনার কাছ থেকে দৌড়ে পালাবে। একটু লেবুর রশ ও মধুর সাথে এক চা চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর ভাল হয়।

. মেথিতে কিউকিলেট নামের একটি উপাদান আছে যা গলা বেথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মিথি সিদ্ধ করে সেই পানিতে গড়্গড় করলে গলার সংক্রমন দূর হয়।

.যাদের চুল পরার সমস্যা আছে তাদের জন্য মেথি এক মহৌষধ। মেথি সিদ্ধ করে সারারাত রেখে তার সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে যদি নিয়মিত  মাথা এবং চুলে মাখা হয়,তাহলে চুল পড়ার হার অনেকাংশে কমে যায়। এমন কি চুল পরা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

. অনেকে আছেন যাদের পেট জ্বলা বা হজমে সমস্যা রয়েছে। নিয়মিত খেলে তাদের এই সমস্যা সমাধান হতে পারে। এতে আছে ফাইবার ও আন্টিওক্সিডেন্ট উপাদান। যা শরীর থেকে টক্সিন  সহ ক্ষতিকর উপাদান দূর করে। এই কারণে মেথি ভিজানু পানি খেলেও হজম সমস্যা সমাধান হবে। এমনকি পেপটিক আলসার সারিয়ে তুলতেও কাজ করে এই মেথি।
.নিমিত মেথি খেলে পেটে কৃমি হয়না সাথে মুখের স্বাদ ও রুচি বৃদ্ধি পায়। মেথি আয়রন সমৃদ্ধ হওয়ায় রক্ত স্বল্পতা  অর্থাৎ আনিমিয়া রোগের ঔষোধ হিসেবে কাজ করে।

১০.মাতৃদুগ্ধ বাড়াতে ঔষধের বিকল্প হলো এই মেথি। সদ্য মা হওয়া নারীর জন্য মেথি ভীষোণ উপকারী।
১১.ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে এই মেথি। বিশেষ করে স্তন ও কোলোন ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য মেথি ভীষোণ কার্যকর।

১২.বয়সসন্ধিকালে  নারীর শরীরে বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন  আসে। হরমোনের এই পরিবর্তনকালে মেথি বেস ভালো একটি ন্যাচারাল মেডিসিন । এছাড়াও কিন্তু পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যার কারণে পুরুষের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

শুধু মেথি আমাদের শরীরের এতগুলো রোগ থেকে আমাদের শরীরকে সুরক্ষা দেয়। তাই নিয়মিত মেথি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ভাল তাকুন,সুস্থ থাকুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post