আমেরিকার ইতিহাস - History of United States of America

 এক নজড়ে আমেরিকা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রঃ-


আমেরিকার  ইতিহাস- History of United States of America


আমেরিকার  আবিষ্কারের ইতিহাসঃ 

আমেরিকার আবিষ্কারক কে এর উত্তর এক বাক্যে সবাই বলবে ক্রিস্টোফার কলম্বাস। কিন্তু আসলেই কি কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলো? নাকি অন্য কোনো ব্যক্তি বা জাতি এর আবিষ্কারক?এর উত্তর এক বাক্যে দেয়া আসলেই কঠিন।

আমেরিকার প্রকৃত আবিষ্কারিক কে?

কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার নিয়ে গবেষকদের যথেষ্ট আপত্তি আছে। কারণ তার  কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠী আমেরিকায় বসবাস করে আসছে। এছাড়াও কলম্বাসের ও আগে ইউরোপের ভাইকিং এবং মুসলিম বণিকদের আনাগোনা ছিলো এই রাস্তায়। এবং আমেরিকায় যাতায়াতের প্রমাণ রয়েছে।

বর্তমান বিশ্বের এক আধিপত্যের নাম আমেরিকা।  বিশ্বের কোনো অংশেই যেন এদের নাগালের বাহিরে নয়। আমেরিকার আধিপত্য এখন আর অবাক করে না আমাদেরকে। বিশ্বের মানুষ খুব পরিচিত তাদের শক্তি সামর্থ্যে। কিন্তু আমেরিকা কি জন্মের পর থেকেই এমন ছিলো?
কে তাকে জন্ম দিলো? কিভাবে আজকের আমেরিকা আসলো? আমেরিকার ইতিহাস  আলোচনা হবে আজকের এই লিখুনিতে।

আমেরিকার ইতিহাস খুব বেশি পুরোনো নয়। প্রায় একশত বছর ধরে গবেষকদের মধ্যে চলছে নানা মতবিরোধ।  কে আমেরিকার প্রকৃত আবিষ্কারক। একদল গবেষক বলেন এখানকার আদিম অধিবাসীরাই আমেরিকার আবিষ্কারক। আরেক দল বলেন ইউরোপীয় ভাইকিং নাগরিকরা প্রথমে আমেরিকায় পা রেখেছে। এছাড়াও গবেষকদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য মতামত হচ্ছে কলম্বাস নয় বরং মুসলিম অধিবাসীরাই আমেরিকার আবিষ্কারক। সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ান আমেরিকার সৃষ্টির ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবদান উল্লেখ করেছেন। এতে করে বিতর্ক আরো বেশি শুরু হয়। তবে অধিকাংশ গবেষক স্বীকার করেন যে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন নি। এবং ঐতিহাসিকরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেশের এশিয়া অঞ্চলে অর্থাৎ ইন্ডিয়া এবং চিনার সাথে বানিজ্যিক যাতায়াত ব্যবস্থা  ছিল। চীন থেকে সিল্ক, চিনা মাটির তৈজসপত্র, আফিম এবং ভারত থেকে মসলা,সুতি কাপড়, সোনাত গহনা ইত্যাদি জিনিসপত্র ইউরোপে আমদানি করা হতো।  তখনকার সময়ে সবচেয়ে বেশি বানিজ্য হতো মসলা এবং আফিম নিয়ে। এবং এসব নিয়ে অনেক বড়সড় যুদ্ধ হয়েছে।  এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম মূলত পরিচালিত হতো সিল্করুট এর মাধ্যমে।  সিল্করুট ব্যবহারের কারণে এর অধিকাংশ বণিক ছিল তুর্কি মঙ্গল এবং আরব। এবং ইউরোপীয়রা এসব পণ্য অনেক চড়া দামে কিনতে বাধ্য হতো।  এইজন্যই ইউরোপীয়রা ভারতে যাওয়ার জলপথ আবিষ্কারের জন্য উঠেপড়ে লাগে।  পর্তুগিজ এবং  স্পেনীয় নাবিকরা  ভারত পথের জলপথ আবিষ্কারের অনেক চেষ্টা করে এবং বারবার ব্যর্থ হয় । তখন ইতালিয়ান নাবিক কলম্বাস ভারত যাওয়ার আগ্রহী হয়ে স্পেনের রাজা ফার্ডিনান্ড এবং রানী ইসাবেলার শরণাপন্ন হয়। প্রায় কয়েক বছর ধরেই নাবিক কলম্বাস তার অভিযান এর বর্ণনা রাজা এবং রাণীর কাছে পেশ করেন।   কলম্বাস অনেক বোঝাবার পর রানী ইসাবেলা এই অভিযানের  ব্যয় ভার  নেওয়ার রাজি হন। কলম্বাসের পরিকল্পনা যথেষ্ট বাস্তব  সম্মত না হলেও স্প্যানিশরা আফিম এবং মসলার বাণিজ্যের পথ সুগম করতে এই প্রস্তাবে রাজি হন। এবং তাকে সহযোগিতা করেন। তারপর থেকে সেই অভিযানেই আমেরিকা আবিষ্কার করেছে বলে প্রচার করা হয়।   তবে বলা যায় যে আমেরিকা আবিষ্কার করা হয়েছেআমেরিকার আবিষ্কারক কে এর উত্তর এক বাক্যে সবাই বলবে ক্রিস্টোফার কলম্বাস। কিন্তু আসলেই কি কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলো? নাকি অন্য কোনো ব্যক্তি বা জাতি এর আবিষ্কারক?

এর উত্তর এক বাক্যে দেয়া আসলেই কঠিন।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার নিয়ে গবেষকদের যথেষ্ট আপত্তি আছে। কারণ তার  কয়েক হাজার বছর আগে থেকেই বহু আদিবাসী জনগোষ্ঠী আমেরিকায় বসবাস করে আসছে। এছাড়াও কলম্বাসের ও আগে ইউরোপের ভাইকিং এবং মুসলিম বণিকদের আনাগোনা ছিলো এই রাস্তায়। এবং আমেরিকায় যাতায়াতের প্রমাণ রয়েছে। 


[আরো পড়ুন এখানে, অভিবাসন কি? যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতি সম্পর্কে ]

বর্তমান বিশ্বের এক আধিপত্যের নাম আমেরিকা।  বিশ্বের কোনো অংশেই যেন এদের নাগালের বাহিরে নয়। আমেরিকার আধিপত্য এখন আর অবাক করে না আমাদেরকে। বিশ্বের মানুষ খুব পরিচিত তাদের শক্তি সামর্থ্যে। কিন্তু আমেরিকা কি জন্মের পর থেকেই এমন ছিলো?
কে তাকে জন্ম দিলো? কিভাবে আজকের আমেরিকা আসলো? আমেরিকার ইতিহাস  আলোচনা হবে আজকের এই লিখুনিতে।

আমেরিকার ইতিহাস খুব বেশি পুরোনো নয়। প্রায় একশত বছর ধরে গবেষকদের মধ্যে চলছে নানা মতবিরোধ।  কে আমেরিকার প্রকৃত আবিষ্কারক। একদল গবেষক বলেন এখানকার আদিম অধিবাসীরাই আমেরিকার আবিষ্কারক। আরেক দল বলেন ইউরোপীয় ভাইকিং নাগরিকরা প্রথমে আমেরিকায় পা রেখেছে। এছাড়াও গবেষকদের আরেকটি উল্লেখযোগ্য মতামত হচ্ছে কলম্বাস নয় বরং মুসলিম অধিবাসীরাই আমেরিকার আবিষ্কারক। সাম্প্রতিক সময়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ এরদোয়ান আমেরিকার সৃষ্টির ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবদান উল্লেখ করেছেন। এতে করে বিতর্ক আরো বেশি শুরু হয়। তবে অধিকাংশ গবেষক স্বীকার করেন যে কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন নি। এবং ঐতিহাসিকরা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দেশের এশিয়া অঞ্চলে অর্থাৎ ইন্ডিয়া এবং চিনার সাথে বানিজ্যিক যাতায়াত ব্যবস্থা  ছিল। চীন থেকে সিল্ক, চিনা মাটির তৈজসপত্র, আফিম এবং ভারত থেকে মসলা,সুতি কাপড়, সোনাত গহনা ইত্যাদি জিনিসপত্র ইউরোপে আমদানি করা হতো।  তখনকার সময়ে সবচেয়ে বেশি বানিজ্য হতো মসলা এবং আফিম নিয়ে। এবং এসব নিয়ে অনেক বড়সড় যুদ্ধ হয়েছে।  এই বাণিজ্যিক কার্যক্রম মূলত পরিচালিত হতো সিল্করুট এর মাধ্যমে।  সিল্করুট ব্যবহারের কারণে এর অধিকাংশ বণিক ছিল তুর্কি মঙ্গল এবং আরব। এবং ইউরোপীয়রা এসব পণ্য অনেক চড়া দামে কিনতে বাধ্য হতো।  এইজন্যই ইউরোপীয়রা ভারতে যাওয়ার জলপথ আবিষ্কারের জন্য উঠেপড়ে লাগে।  পর্তুগিজ এবং  স্পেনীয় নাবিকরা  ভারত পথের জলপথ আবিষ্কারের অনেক চেষ্টা করে এবং বারবার ব্যর্থ হয় । তখন ইতালিয়ান নাবিক কলম্বাস ভারত যাওয়ার আগ্রহী হয়ে স্পেনের রাজা ফার্ডিনান্ড এবং রানী ইসাবেলার শরণাপন্ন হয়। প্রায় কয়েক বছর ধরেই নাবিক কলম্বাস তার অভিযান এর বর্ণনা রাজা এবং রাণীর কাছে পেশ করেন।   কলম্বাস অনেক বোঝাবার পর রানী ইসাবেলা এই অভিযানের  ব্যয় ভার  নেওয়ার রাজি হন। কলম্বাসের পরিকল্পনা যথেষ্ট বাস্তব  সম্মত না হলেও স্প্যানিশরা আফিম এবং মসলার বাণিজ্যের পথ সুগম করতে এই প্রস্তাবে রাজি হন। এবং তাকে সহযোগিতা করেন। তারপর থেকে সেই অভিযানেই আমেরিকা আবিষ্কার করেছে বলে প্রচার করা হয়।   তবে বলা যায় যে আমেরিকা আবিষ্কার করা হয়েছে ভারতবর্ষের জলপথ আবিষ্কার করতে গিয়ে। কিন্তু আমেরিকা আবিষ্কার করার কোনো ইচ্ছে কলম্বাসের ছিল না।  কারণ তৎকালীন মানচিত্রে আমেরিকা মহাদেশের কোনো মানচিত্র বা চিহ্নই  ছিল না।  ভারতবর্ষের জলপথ আবিষ্কার করতে গিয়ে। কিন্তু আমেরিকা আবিষ্কার করার কোনো ইচ্ছে কলম্বাসের ছিল না।  কারণ তৎকালীন মানচিত্রে আমেরিকা মহাদেশের কোনো মানচিত্র বা চিহ্নই  ছিল না। চৌদ্দশ 92 সালের 3 আগস্ট কলম্বাজ  ৩ টি জাহাজ এবং ৯০ জন নাবিক নিয়ে এই অভিযান শুরু করে।  তার মাত্র দুই মাস পর ১২ অক্টোবর কলম্বাস বাহামা দীপপুঞ্জে  অবতরণ করে।  সেখানে নেমে এসে মনে করেছে ইন্ডিয়া  চলে গেছে। তাই কলম্বাস সেখানে বসবাসরত আদিবাসীদের নাম দেন ইন্ডিয়ান।  সেখানের এক অধিবাসীদের নাম  ছিলো টাইনো। টাইনো অধিবাসীরা কলম্বাস এবং তার সহযোগীদের অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে। কিন্তু কলম্বাস সাথে সাথে  স্পেনে ফিরে গিয়ে ১৭ টি জাহাজে করে প্রায় ১২শত লোক নিয়ে আবারও টাইনো অধিবাসীদের মাঝে ফিরে আসে।  তার উদ্দেশ্য ছিল দ্বীপের অধিবাসীদের দাস হিসেবে বন্দী করে তাদের সোনা গহনা জব্দ করবে। এদিকে স্বর্ন কি জিনিস টাইনোরা তাও জানতো না। কোনো ধনসম্পদ না পেয়ে হতাশ হয়ে কলম্বাস সেখানের অধিবাসীদের নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে। এছাড়া কলম্বাসের সাথে থাকা নাবিকদের মাধ্যমে রোগ ছড়ে কয়েকবছরের মধ্যে অধিবাসীদের ৯০% পর্যন্ত মারা যায়। সেই অভিযানে কলম্বাস যেসব জায়গায় পৌঁছে ছিল সেই জায়গাগুলোর আধুনিক নাম কিউবা,হাইতি, ডমিনিকান রিপাবলিক।  যেগুলোর একটিও আমেরিকা নয়।  তবে কলম্বাস তার মৃত্যু পর্যন্ত বিশ্বাস করতো যে সে ইন্ডিয়া  আবিষ্কার করেছে ।


সাম্প্রতিক সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা  আমেরিকার এই অধিবাসীরা প্রায় দেড় লক্ষ বছর আগে থেকেই এই মহাদেশে অবস্থান করছিল। এই আদিবাসীরা মহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে। উত্তরের ইউনেড এবং দক্ষিণের আজডেক ও মায়া জাতির লোকেরা এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।   আরেকদল গবেষকদের ধারণা আনুমানিক ১২ হাজার বছর পূর্বে আমেরিকান অধিবাসীরা রাশিয়া,আলাস্কা হয়ে উত্তর আমেরিকায় প্রবেশ করে। ১৯৭০ সালে আমেরিকার পত্নতাত্ত্বিকেরা নিউবমেক্সিকো ক্লোভিজ উপজাতির সন্ধান পায়।  এই উপজাতিদের ডিএনএ থেকে প্রায় ১১ হাজার আগে আলাস্কা এবং সাইবেরিয়া থেকে আসা আদিবাসীদের যোগসূত্র খুজে পান।   ক্লোভিজ গোষ্ঠী টি আমেরিকার আদি উত্তরসূরী  বলেই ধারণা করা হয়।   এই যুক্তিতে একদল গবেষক আমেরিকার আবিষ্কারক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে দাবী উথাপন করেন। আর এই আদিবাসীদের যদি আমেরিকার আবিষ্কারক বলে স্বীকৃতি দেয়া হয় কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছে এমন কথা কোনো ভাবেই বলা যায়না। বৃটেনের বার্মিংহাম এবং যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেন, কলম্বাস  আমেরিকা আবিষ্কারের প্রায় ৫০০ বছর আগেই ভাইকিং জাতি আমেরিকা আবিষ্কার করেছে।  ভাইকিংরা প্রথমবারের মতো আটলান্টিক মহাসাগর পারি দিয়ে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের উত্তর পূর্ব উপকূলে অবতরণ করে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা ইংল্যান্ড দ্বীপে স্থানী বসবাস শুরু করে। চৌদ্দশতকের ভ্রমণ বিষয়ক গ্রন্থ দ্যা সাগা অফ গ্রিনল্যান্ডাসে বলা হয়েছে ভাইকিং জাতি নরওয়ে থেকে গ্রিনল্যান্ড যাওয়ার পথে ৯৮৬ সালে প্রথম আমেরিকা আবিষ্কার করে।  



আরেকদল গবেষক মনে করেন কলম্বাস বা ভাইকিং দের আগেই মুসলিমরা প্রথম আমেরিকায় পৌঁছে ছিলেন। আবু রায়হান নামের এক উজবেক নাগরিক আমেরিকা আবিষ্কার করেছেন বলে অনেকের ধারণা।  কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করার সময় কিউবা উপকূলে পাহাড়ের উপর একটি মসজিদের অস্তিত্বের কথা উল্লেখ করেছে। যা মুসলিমদের সাথে লাতিনদের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা ইঙ্গিত করে। বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের তথ্যসূত্র থেকে জানা যায় স্পেনের মুসলমান শাসকদের সাথে ৮-১৫ শতাব্দী পর্যন্ত আমেরিকার আদি অধিবাসীদের বানিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল।  তবে কলম্বাস আমেরিকা বা ইন্ডিয়া কোনোটি আবিষ্কার কর‍তে না পারলেও ইউরোপীয় দের অজানা এক ভূখণ্ড আবিষ্কার করতে পেরেছিলো। তখন কলম্বাস বাহামা দীপপুঞ্জের যে দ্বীপে অবতরণ করেছিলো সেটার নাম সান সালভাদর।  বর্তমানে সেটি ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত।  যা বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৃথিবীর বিখ্যাত পর্যটন এলাকা।

বর্তমান আমেরিকাঃ

আমেরিকাকে কেন মার্কিনী এবং যুক্ত রাষ্ট্র  বলা হয়?

বর্তমানে ৫০ টি রাষ্ট্রে গঠিত হয়েছে আমেরিকা। অনেক গুলো রাষ্ট্রের সমন্বিত রুপ হচ্ছে আমেরিকা। যা যুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে। এই কারণে আমেরিকাকে বলা হয় যুক্ত রাষ্ট্র। 
আমেরিকা মূলত একটি মহাদেশ। 

আমেরিকাকে কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়?


আমেরিকানরা লেখার সময় ঠিক বানান লিখলেও কথা বলার সময় আ অক্ষরটাকে ওরা উহ্য রাখে। ওরা নিজেদের দেশকে ম্যারিকা বলে উচ্চারণ করে এবং নিজেদের বলে ম্যারিকান। সেখান থেকেই বাংলায় মার্কিন শব্দের উৎপত্তি এবং সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় অনুযায়ী মার্কিন থেকে জাত বা অপত্য অর্থে মার্কিনী (মার্কিন + ষ্ণি)।

তবে মার্কিন নামের নামকরণ নিয়ে আরেকটি উল্লেখযোগ্য মতামত আছে। যেমনঃ

আমেরিকা মহাদেশে অনেকগুলো দেশ থাকলেও শুধুমাত্র আমেরিকা বললেও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝায়।

নতুন শব্দটির জন্ম নেয় ব্রিটিশ আমলে যখন আমেরিকা থেকে সস্তায় কাপড় এদেশে সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। 'আমেরিকান কাপড়' লোকমুখে ফিরতে ফিরতে 'মার্কিন কাপড়' নাম নেয়। কাপড়ের নাম থেকে দেশটার নামও মার্কিন নামে পরিচিত হয়ে বইপত্রে ঢুকে পড়ে। ভারত পাকিস্তানেও যুক্তরাষ্ট্রকে মার্কিন বলা হয়।এখনো কাপড়ের দোকানে দেশে তৈরি সস্তায় মার্কিন কাপড় পাওয়া যায়।

কাপড়ের নামে স্থানের নামকরণের আরো নজির রয়েছে। ইরাকের যে বন্দরে ঢাকার মসলিনের ক্রয়-বিক্রয় বড় কেন্দ্র ছিল তার নাম ছিল মসুল।

আমেরিকার নামকরণঃ ১৫০৭ সালে জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিম্যুলার বিশ্বের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। এই মানচিত্রে তিনি ইতালীয় আবিষ্কারক ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে পশ্চিম গোলার্ধের নামকরণ করেন "আমেরিকা"।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থান: "ইন গড উই ট্রাস্ট" নীতিবাক্যে বিশ্বাস করা প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটি বিশ্বকে শাসন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকা মহাদেশের ৫০ টি অঙ্গরাজ্য এবং একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা ও ৫ টি টেরিটোরি এবং কিছু আউটলেয়িং দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত বর্তমান পৃথিবীর শাসক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা নামেও পরিচিত। দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। বৃহত্তম নগরী নিউইয়র্ক সিটি।  যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড পশ্চিমে প্রশান্ত, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যস্থলে অবস্থিত। উত্তরে বিশাল কানাডা দক্ষিণে মেক্সিকো।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যটি উত্তর আমেরিকার উত্তর পশ্চিম দিকে অবস্থিত। 


যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন ও জনসংখ্যা কতো?

যুক্তরাষ্ট্রের আয়তোন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার বা ৩৭.৯ লক্ষ বর্গমাইল। 
জনসংখ্যা প্রায় ৩২ কোটি ৮২ লক্ষ। এটি বিশ্বের তৃতীয় বা চতুর্থ বৃহত্তম দেশ। এটি বিশ্বের একটি বৈচিত্র্যময় সমাজব্যবস্থার দেশ। বহু জাতি এবং অভিবাসনের কারণে এটি বিশ্বের বহুসংস্কৃতিবাদী একটি দেশ।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তর অর্থনৈতিক দেশ।  বিশ্ব অর্থনীতির ধারক বাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের কারণ। 



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীসূচক নাম গুলো কি কি?

মার্কিন,মার্কিনী, আমেরিকান।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থা কেমন? 


 যুক্তরাষ্ট্রীয় রাষ্ট্রপতি শাসিত সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস। এবং প্রধান  বিচারপতি জন রবার্ট। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন সভার নাম কি? 


 কংগ্রেস
উচ্চ-কক্ষ - সিনেট
নিম্নকক্ষ- হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ভাষা কোনটি?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ভাষা হচ্ছে ইংরেজি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৃগোষ্ঠী কয়টি? কি কি?

শ্বেত- ৭৬.৩%
কৃষ্ণবর্ণ- ১৩.৪%
এশীয়- ৫.৯%
বহুজাতীয়- ২.৮%
নেটিভ আমেরিকান- ১.৩%
প্রশান্ত মহাসাগরীয়- ০.২%
জাতিগত ভাবে ৮১.৫% অ-হিস্পানিক এবং ল্যাটিনো।
এবং ১৮.৫% হিস্পানিক এবং ল্যাটিনো।


যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সম্পর্কে জানতে পড়ুন এখানে 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ইতিহাস বিপ্লব আন্দোলনঃ 

আমেরিকা স্বাধীনতা লাভ করে গ্রেট বৃটেন থেকে ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই।
সংবিধান রচনা করা হয় ২১ জুন ১৭৮৮ সালে।
সর্বশেষ সংশোধিত হয় ৫ মে ১৯৯২ সালে।

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসঃ

বর্তমান পৃথিবীর শাসক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই।  কোনো না কোনো ভাবে এই দেশটির নিয়ন্ত্রণে থাকে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ সকল প্রান্ত।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অর্থনীতি, সামরিক সক্ষমতা, কূটনৈতিক তৎপরতা বিস্তৃত সারা বিশ্বব্যাপী।  কিন্তু এই মহাশক্তিশালী দেশটি একটা সময় শাসিত হয়েছে আরেক শক্তিশালী শাসনকর্তাদের দ্বারা।  এটাই প্রমাণ করে একটা নির্দিষ্ট অন্তর অন্তর পর কেউ ক্ষমতায় স্থায়ী নয়। ক্ষমতার হাত বদল হবে এটাই যেন চির সত্য।

এই প্রসঙ্গে আলোচনা হবে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনতা লাভ করে ১৭৭৬ সালে তৎকালীন বিশ্ব শাসন কর্তা গ্রেট বৃটেন থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়কাল ১৭৭৫-১৭৮৩
এই আন্দোলনের ভিত্তি ছিল আমেরিকার ১৩ টি উপনিবেশ বিদ্রোহ।  এর ফলে গঠিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।  প্রথমে এই আন্দোলনের বিস্তৃতি নির্দিষ্ট হলেও পরে যোগ দেয় ফরাসি ও স্পেনীয়রা। তারা যোগ দেয়ার ফলে আন্দোলন ত্বরান্বিত হয়৷ পরে এই আন্দোলন ইউরোপ এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে।

এই আন্দোলনের প্রত্যক্ষ কারণ ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক কর আরোপের ফল। এই করকে মার্কিনীরা বে আইনি বলে অবহিত করে।  তারপর সাফোক রিসলভ ম্যাসাচুসেটস বে প্রদেশের রাজকীয় সরকার অধিকার করলে বিদ্রোহ শুরু ১৭৭৪ সালে। বৃটিশরা থেমে না থেকে বিদ্রোহ দমনের জন্য বৃহৎ সেনা সমবেত করে। এই সময় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ছিল জর্জ ওয়াশিংটন।  পরবর্তীতে এই জর্জ ওয়াশিংটনের নামে নামকরণ করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর ওয়াশিংটন ডিসিকে। 

প্রত্যেক যুদ্ধেই কিছু গোপন কার্যক্রম থাকে অন্যান্য দেশের সাথে যুদ্ধগ্রস্থ দেশের সাথে কিংবা পক্ষে থাকা দেশের সাথে। তেমনি ফ্রান্স এবং স্পেন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ গোপন পক্ষপাতী।  এই দুই দেশ ১৭৭৬ সালের শুরুতে গোপনে বিপ্লবীদেরকে অস্ত্র সরবরাহ করতে থাকে।  পরে বৃটেনের মিত্রপক্ষে থাকা স্পেন সরাসরি যুদ্ধে যোগ দে ১৭৭৯ সালে।  স্পেনের দেখাদেখি ফ্রান্স ও যোগ দেয় এই যুদ্ধে। ফ্রান্স ও স্পেন স্থল এবং নৌপথে মার্কিনীদের সহায়তা অব্যাহত রাখে এবং বৃটিশদের উত্তর আমেরিকা থেকে হটিয়ে দেয়। পরে বৃটিশ হতাশ হয়ে অন্য প্রান্তে আক্রমণ শুরু করে। ১৭৭৮ সালের বৃটিশরা দক্ষিণ উপনিবেশগুলোর উপর নজর দেয়। এবং ১৭৭৯-১৭৮০ সালের দিকে বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত শহর জর্জিয়া ও সাউথ ক্যারোলিনা জয়  করতে সক্ষম হলেও ভার্জিনিয়া দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এবং প্রায় ৭০০০ এর বেশি ব্রিটিশ সৈনিক বন্দী হয়।  এটাই ছিল বৃটেনের পিছো হটার প্রাথমিক অবস্থা।  এরপর পুরোপুরি ভাবে যুদ্ধ না থামলেও ১৭৮২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে অল্প অল্প লড়াই চলতে থাকে। অবশেষে প্যারিস চুক্তি ১১৮৩ তে সাক্ষরের মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এভাবেই বর্তমান সময়ের বিশ্ব শাসন কর্তা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উথানের সূত্রপাত হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ফরাসি বিপ্লব সহ আরো কিছু  বিপ্লব ঘটে।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

স্বাধীনতা পরবর্তী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসঃ

(স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস

জর্জ ওয়াশিংটন (মেয়াদ ১৭৮৯ - ১৭৯৯ খ্রি.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট । তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নি।

থমাস জেফারসন (মেয়াদ ১৮০১-১৮০৯ খ্রি.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট

আব্রাহাম লিংকন (মেয়াদ । ১৮৬১ হতে ১৮৬৫ খ্রি.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষোড়শ প্রেসিডেন্ট।

১৮৬৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাস প্রথার অবসান ঘটান এবং দাসত্ব মোচন (Emancipation Proclamation) ঘোষণার মাধ্যমে দাসদের মুক্ত করে দেন। দাসপ্রথাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ সময় গৃহযুদ্ধ (সময়কাল: ১৮৬১ - ১৮৬৫ খ্রি.) হয়। গৃহযুদ্ধের সময় আব্রাহাম লিংকন যুক্তরাষ্ট্রে 'Greenback' নামক এক প্রকার কাগজের মুদ্রা চালু করেন। ১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট লিংকন ২ মিনিট স্থায়ী তাঁর বিখ্যাত গেটিসবার্গ ভাষণ (Gettysburg Address) দেন। লিংকন তাঁর দ্বিতীয় অভিষেক ভাষণে বলেন, 'With malice toward none; with charity for all, with firmness in the right, as God gives us to see the right. ১৮৬৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ এপ্রিল আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। তিনিই ছিলেন আততায়ীর হাতে নিহত প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট (অফিসে : ১৯৩৩-৪৫ খ্রি.) ৩২তম প্রেসিডেন্ট। তিনি টানা ৪ বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং  দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে  তিনিই  একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি দুইবারের অধিক সময়ের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

জন এফ কেনেডি (১৯৬১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট কেনেডি তাঁর অভিষেক ভাষণে বলেন, Ask not what your country can do for you, Ask you can do for your country তিনি আরও বলেন, "Let us never negotiate out of fear. But let us never fear to negotiate."

রিচার্ড নিক্সন (মেয়াদ : ১৯৬৯ -৭৪ খ্রি.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম প্রেসিডেন্ট। নিক্সন ছিলেন রিপাবলিক দলের প্রার্থী। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চলাকালে ১৯৭২ সালের ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দল এবং প্রশাসনের পাঁচ সদস্য ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াটার গেট নামক ভবনে অবস্থিত বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদর দপ্তরে আড়িপাতার যন্ত্র বসায়। ওয়াশিংটন পোস্টে এ খবর প্রকাশিত হলে তা আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট নিক্সন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ইতিহাসে এ ঘটনা ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি (Watergate scandal) নামে পরিচিত। নিক্সন পদত্যাগ করলে সাংবিধানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত হন জেরাল্ড ফোর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হননি। নিক্সন ও জেরাল্ড ফোর্ডের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ছিলে হেনরি কিসিঞ্জার। কিসিঞ্জারের বিখ্যাত গ্রন্থ 'The White House Years"।

জিমি কার্টার (মেয়াদ : ১৯৭৭ - ১৯৮১ খ্রি.) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ' White House Diary ।

রোন্যান্ড রিগ্যান (মেয়াদ ১৯৮১-৮৯ খ্রি.) যুক্তরাষ্ট্রের ৪০তম প্রেসিডেন্ট। তিনি একজন অভিনেতা ছিলেন। ১৯৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র গ্রানাডায় সামরিক আগ্রাসন চালায়। একই বছর রিগ্যান ভূমি ও মহাকাশে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নেন, যা SDI (Strategic Defense Initiative) নামে পরিচিত। সমালোচকেরা একে নক্ষত্র যুদ্ধ (Star War) এর পরিকল্পনা হিসাবেও অভিহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনয়নের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনা প্রশমনে ১৯৮৬ সালের ১১-১২ অক্টোবর রিগ্যান ও তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে আলোচনায় মিলিত হন।

বিল ক্লিনটন (মেয়াদ : ১৯৯৩ - ২০০১ খ্রি.) যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম প্রেসিডেন্ট। তিনি সৎ পিতার পদবি ব্যবহার করতেন। তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'মাই লাইফ' (My Life)। ক্লিনটনের সহধর্মিনীর নাম হিলারি। হিলারির আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ 'লিভিং হিস্ট্রি' (Living history)

জর্জ ডব্লিউ বুশ (মেয়াদঃ ২০০১- ২০০৯ খ্রি.) যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩তম প্রেসিডেন্ট বুশের মন্ত্রিসভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন কন্ডোলিসা রাইস। কন্ডোলিসা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আল কায়েদা সন্ত্রাসীরা ৪টি যাত্রীবাহী বিমান। ছিনতাই করে। ছিনতাই বিমানের মধ্যে দুইটি আঘাত হানে পরা মানহাটন, নিউইয়র্কে অবস্থিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে, ১টি পেন্টাগনে এবং চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনা Nine eleven (১/১১) নামে পরিচিত। নারকীয় এ হামলায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ১১০ তলাবিশিষ্ট টুইন টাওয়ারে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।  এই জায়গাটিকে বলা হয় গ্রাউন্ড জিরো। 


দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সমূহঃ ব্রাজিল, পেরু,সুরিনাম,গায়ানা,উরুগুয়ে,প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ইইকুয়েডর, কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, চিলি।



নিচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেয়া হলো যেগুলো সচরাচর অনেকেই জানতে চায়।


যুক্তরাষ্ট্র কাকে বলে? বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থা বলতে কি বুঝায়?


যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং যুক্তরাজ্য বলতে কি বুঝায়?



যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বলতে একাধিক স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ, রাজ্য, বা অঙ্গরাজ্যের সমন্বয়ে গঠিত সরকার ব্যবস্থা। একেই বলে যুক্তরাষ্ট্র। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা আছে। 


আবার কখনো কখনো স্বায়ত্বশাসনের মাত্রা অনুযায়ী একে ইউনিয়ন, ফেডারেশন বা কনফেডারেশন বলে।


বাংলাদেশে এককেন্দ্রীক সরকার। কিন্ত দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত চারটি দেশ, যেমন ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বিদ্যমান। আমাদের কাছের দেশ মায়ানমার, মালয়েশিয়া ইত্যাদির যুক্তরাষ্ট্রীয়।


আবার ইউরোপের  প্রায় অধিকাংশ দেশই যুক্তরাষ্ট্রীয়, যেমন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, স্পেন ইত্যাদি।



যুক্তরাজ্য হচ্ছে গ্রেট বৃটেন যা ইংল্যান্ড,স্কটল্যান্ড,ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত।এটি ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত।


অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা বা অনেকে আমরা একে সংক্ষেপে আমেরিকা বলে থাকি।এটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত।


যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যর চেয়ে আয়তনে প্রায় ৫০গুন বড়।


যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কি এক?



না যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত।  আর যুক্তরাজ্য হচ্ছে ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত।  দুটি ভিন্ন দেশ।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য কয়টি? ৫০ টি তবে সর্বশেষ যুক্ত হওয়া হাওয়াই দীপপুঞ্জ নিয়ে ৫১ টি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতটি রাজ্যের মানুষ ইংরেজিতে কথা বলে?  ২৬ টি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কি? কংগ্রেস।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কত কক্ষ বিশিষ্ট? দুই কক্ষ বিশিষ্ট, উচ্চ কক্ষ এবং নিম্নকক্ষ। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনক কে? আব্রাহাম লিংকন, যিনি আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে লিড দিয়েছেন।



যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য কোনটি?


 হাওয়াই দীপপুঞ্জ। 

 

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অঙ্গরাজ্য কোনটি? আলাস্কা 


যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ অঙ্গরাজ্য কোনটি?


হাওয়াই দীপপুঞ্জ। 


যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ তম অঙ্গরাজ্য কোনটি?

আলাস্কা

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর নাম কি? ওয়াশিংটন ডি.সি


যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশ| উপনিবেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|

আমেরিকা উইকেপেডিয়া| মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভৌগোলিক অবস্থা|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনা||আমেরিকায় উচ্চ শিক্ষা|আমেরিকা মহাদেশ|আমেরিকার শহর||আমেরিকা যাওয়ার উপায় ||মেরিকার ভিসা পাওয়ার উপায় 

দক্ষিণ আমেরিকা।আমেরিকার রাজ্যগুলোর নাম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর নাম কি?

যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশ

যুক্তরাষ্ট্র কি আমেরিকা? 

হ্যাঁ যুক্তরাষ্ট্র ই আমেরিকা।  আমেরিকার কি যুক্তরাষ্ট্র? আমেরিকার মানচিত্র। 



Post a Comment

Previous Post Next Post